হাতিরঝিল থানায় আসামির মৃত্যু
আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া মরদেহ নিতে নারাজ নিহতের স্ত্রী
প্রকাশিত:
২১ আগস্ট ২০২২ ২৩:৪৪
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ২১:৫৮

রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় সুমন শেখ নামে এক আসামির আত্মহত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও মরদেহ নেওয়া হয়নি। পুলিশ শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে মরদেহ নিতে বললেও পরিবার তা করেনি।
সুমন শেখের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুমন শেখের কেন মৃত্যু হলো, এর আসল কারণ তারা জানতে চান। তাই তারা এভাবে সুমন শেখের মরদেহ নিয়ে যাবেন না। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তারা মরদেহ নেবেন। আইনি প্রক্রিয়া কি কি রয়েছে তা যাচাই-বাছাই করার জন্য নিহত সুমনের স্ত্রী আদালতে গেছেন। সেখানে আইনজীবীদের পরামর্শে আদালতে মামলাও করতে পারেন তিনি। তারপর হয়ত আজ বিকেলের দিকে সুমন শেখের মরদেহ পরিবার গ্রহণ করবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানা গেছে, আইনজীবীদের পরামর্শ মোতাবেক তারা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেবেন। এক্ষেত্রে ইউনিলিভার লিমিটেড বাংলাদেশ ও পুলিশের বিরুদ্ধে একটি মামলা করতে পারেন নিহত সুমনের স্ত্রী। আদালতে মামলা করার পরই আজ বিকেলের দিকে হয়ত সুমনের মরদেহ দাফনের জন্য গ্রহণ করা হতে পারে।
এ বিষয়ে রোববার সকালে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক জানান, মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হলে তারা পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করবেন। এদিকে সুমনের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করতে তিন সদস্যদের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তখন তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, হাতিরঝিল থানায় সুমন শেখ নামে এক আসামির আত্মহত্যার ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) রাতে দায়িত্বে থাকা ডিউটি অফিসার হেমায়েত হোসেন ও সেন্ট্রি মো. জাকারিয়াকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজিমুল হক আরও জানান, ইউনিলিভার লিমিটেডের পিউরইটে চাকরি করতেন সুমন শেখ। পিউরইট অফিসের ৫৩ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় গত ১৫ আগস্ট একটি মামলা হয়। এ ঘটনায় তিন জনকের গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। গ্রেপ্তাররা হলেন— আল আমিন, সোহেল রানা ও অনিক হোসেন। পরে এই তিন জনের দেওয়া তথ্য ও অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চুরির সঙ্গে সুমন শেখের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে তাকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর সুমন শেখকে নিয়ে রাতে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭শ টাকা জব্দ করা হয়।
সুমনের শেখের আত্মহত্যার বর্ণনা দিয়ে ডিসি তেজগাঁও জানিয়েছেন, অভিযান শেষে সুমন শেখকে রাতে হাতিরঝিল থানা রাখা হয়। শনিবার সকালে রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৩২ মিনিটে সুমন তার পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। এই ফুটেজ নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনদেরও দেখানো হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
হাতিরঝিল
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: