কিশোর গ্যাং জালাল বাহিনীর ৮ সদস্য গ্রেপ্তার
প্রকাশিত:
৩১ জানুয়ারী ২০২৩ ০৫:৪৩
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫১

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ এর একটি দল।
গ্রেপ্তাররা হলেন—পিচ্চি জালাল বাহিনীর প্রধান মো. শাহ জালাল (১৯), মোকাব্বির হোসেন আয়ান (১৯), ইমন সরদার (২০), মো. রাসেল (১৯), মো. সুজন (১৯), মো. মুন্না হোসেন (১৯), মো. রাজু (১৯) ও মো. হাসান (১৯)। এছাড়া আরও আট কিশোরকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
র্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবীর সোয়েব জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার পিচ্চি জালালের নেতৃত্বে তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী থানার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ে জড়িত। তারা ফাঁকা জায়গায়, একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট ও ল্যাপটপসহ সঙ্গে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত।
গ্রেপ্তার কিশোর অপরাধীরা স্বীকার করেছে যে, চুরি ছিনতাই ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানা ধরনের অসামাজিক ও অশ্লীল টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছিল।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে শাহ জালাল, মোকাব্বির হোসেন আয়ান, ইমন সরদার ও রাসেলের বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় ছিনতাই মামলা এবং সুজন, মুন্না হোসেন রাজু ও হাসানদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় অপর ছিনতাই মামলায় মোট ৮ জনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া বাকি আটজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে র্যাব-১০ তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে।
র্যাব-১০ আগামী দিনগুলোতে তাদেরকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখবে, যাতে তারা আর কখনো এ ধরনের অপরাধমূলক অংশগ্রহণ না করতে পারে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: