পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
“আমি থাকাবস্থায় আপনার মার্কটি জার্নালে প্রকাশ হইবে না, পারলে কিছু করেন”
প্রকাশিত:
২২ মে ২০২৩ ২২:৩১
আপডেট:
২২ মে ২০২৩ ২২:৩৩

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার (২২ মে) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মোঃ রেজাউল করিম এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী মোঃ রেজাউল করিম বলেন, একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত তিনি “বসুধা” ট্রেডমার্ক ব্যবহার পূর্বক শরিষার তেল উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছেন। ২০২২ সালের ২৭ জুন তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন “পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে” ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন (নং-২৭৭৯৬২) করেন।
পরবর্তীতে শুনানী শেষে মার্কটি জার্নাল প্রকাশের অনুমতি লাভ করে। একই বছর (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২) সোনালী ব্যাংকে জার্নাল ফি জমা দেন তিনি। পরবর্তিতে “মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ” এর স্বত্তাধিকারী মোঃ সুমন খান নিয়ম বহির্ভূতভাবে (বিধি ১৮) রেজাউল করিমের “বসুধা” ট্রেডমার্কের বিরুদ্ধে আবেদন করেন- যা পরবর্তী শুনানীঅন্তে নামঞ্জুর হয়ে রেজাউলের পক্ষে আদেশ হয়।
রেজাউল করিম বলেন, চলতি বছরের ২০ মার্চ পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি গেজেটেড টিএমআর-১৩ জাল-জালিয়াতি ও তঞ্চকতা করে তাকে একটি নোটিশ ইস্যু করে এবং মাত্র ৭ (সাত) দিনের সময় দিয়ে ২৮ মার্চ শুনানীর দিন ধার্য্য করেন। নোটিশ পাওয়ার পর রেজাউল করিম তার আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে সাক্ষাত করে এমনটি না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং শুনানীতেও অংশগ্রহণ করেন।
শুনানী শেষে ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এবং ট্রেডমার্ক বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী সূত্রোক্ত নোটিশ বাতিল করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহনের জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান রেজাউল করিমের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং এই বলে হুমকী দেন “আমি এই চেয়ারে থাকাবস্থায় আপনার মার্কটি জার্নালে প্রকাশ হইবে না, পারলে কিছু করেন।” রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমানের এহেন কর্মকান্ড উল্লেখ করে গত ২৯ মার্চ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত আবেদন করার পরও অদ্যাবধি কার্যকর কোন প্রতিকার না পাওয়ার হতাশা ব্যক্ত করেন রেজাউল।
রেজিস্ট্রার বেআইনীভাবে তার “বসুধা” ট্রেডমার্কটি গেজেটে প্রকাশ না করে শুধুমাত্র মৌখিক আদেশ দিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন উল্লেখ করে রেজাউল করিম আরও বলেন, রেজিস্ট্রারের এমন উক্তিতে তার কাছে লিখিত আদেশ চাইলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে উচ্চ আদালতে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। যে কারনে ব্যবসায়িকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি সর্বশান্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে তার।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: