হারুনের দাবি
সহিংসতার দায় স্বীকার করেছেন বিএনপি নেতারা
প্রকাশিত:
৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:০৮
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২৬

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেছেন, ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ঘিরে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে এর দায় স্বীকার করেছেন রিমান্ডে থাকা বিএনপি নেতারা।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেফতার হওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা রিমান্ডে প্রথমে হামলা ও সহিংসতার সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা কথা অস্বীকার করেন। পরে আমরা যখন সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়েছি তখন তারা দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সহিংসতার বিষয়ে সিনিয়র নেতারা দায় এড়াতে পারেন না বলে স্বীকার করছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা দাবি করেন, নাশকতাকারী সবার নেতা হচ্ছেন (যুবদল সভাপতি) সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তার নেতৃত্বেই গত ২৮ অক্টোবর থেকে চলমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় বাসে আগুন, ককটেল নিক্ষেপ, পেট্রোল বোমা বা পেট্রোল লাগিয়ে আগুন জ্বালানো হয়।
ডিবি প্রধান বলেন, ২৮ অক্টোবর সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্য আমিরুল হত্যা, বিচারপতির বাসভবনের হামলা, কাকরাইল, রমনা, মৌচাকে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতার হাসান হাওলাদার গুলশান থানা ছাত্রদল কর্মী। তিনি ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও সেখানে থাকা বিআরটিসি বাসে আগুন দেন। এসব সহিংসতা করার পর আবার টিকটিক করেন।
হারুন বলেন, গ্রেফতার কামরুজ্জামান টুকু শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। বিএনপির সমাবেশে অংশগ্রহণ করে পুলিশের ওপর আক্রমণে সক্রিয় ভূমিকা রাখে মর্মে তিনি স্বীকার করেন।
গ্রেফতার আবুল হোসেন জুয়েল কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। তিনি সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা চালান। রানা মিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ড মুগদা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব। সমাবেশের পুলিশ হত্যা মামলার গ্রেফতার আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে নাম আসে। মহিউদ্দিন হৃদয় রমনা থানা যুবদলের ১৯নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
হারুন বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব, রবিউল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে প্রথমে মৌচাকে বলাকা বাসে আগুন দেয়, তারপর কাকরাইল মোড়ে বাসে আগুন দেয় এবং পরবর্তী সময়ে পুরাতন রমনা থানার সামনে বাসে আগুন দেয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
#আওয়ামী লীগ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: