চট্টগ্রামে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা
প্রকাশিত:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:২২
আপডেট:
২ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:২৬

চট্টগ্রাম বন্দর কলোনির পরিত্যক্ত বাসায় সুরমা আক্তার নামে সাত বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর নাম করে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে এক রিকশাচালক তুলে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে নিখোঁজ হয় শিশু সুরমা আক্তার। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই শিশুর বাবা-মাকে নিয়ে আসা হয় শনাক্তের জন্য। অথচ তার বাবা-মা পুরো রাত অপেক্ষায় কাটিয়েছেন মেয়েকে জীবিত ফিরে পাবেন এ আশায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেয়েকে পাওয়া গেল প্রাণহীন।
শিশুটির বাবা জানান, ‘বিকেলে এক রিকশাচালক তার মেয়েকে বলেছে আঙ্কেল এক জায়গায় বিরিয়ানি দিচ্ছে তুই কি আমার সাথে যাবি। তখন তার মেয়ে ওই চালকের রিকশায় চলে যায়। তারপর মেয়েকে আর খুঁজে পাননি।’
স্থানীয়রা জানান, ‘এই বাসাগুলো অনেকদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। এগুলো না ভাঙার কারণে দিনেরাতে এখানে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে।’
মরদেহ উদ্ধারের পর পরই ঘটনাস্থলে আসে সিআইডির ফরেনসিক টিম। নানা ধরনের আলামতও সংগ্রহ করে তারা। প্রাথমিকভাবে ওই শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তবে ধর্ষণের অভিযোগ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তদন্তকারী সংস্থাকে।
সিএমপির বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান জানান, ‘প্রাথমিক অবস্থায় মনে হচ্ছে কেউ ওই শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। বাকিটা ময়নাতদন্তের পর বুঝা যাবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পরপরই শিশু কন্যাটিকে হালিশহর বড়পোল থেকে বন্দর কলোনির এই পরিত্যক্ত বাসায় নিয়ে আসা হয়েছিল। শিশু সুরমার বাবা রিকশাচালক এবং মা গৃহকর্মী। ধর্ষণের পর এ শিশু কন্যাকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক রিকশাচালককে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সম্পর্কিত বিষয়:
শিশু
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: