রাঙামাটিতে হাম রোগে ৫ শিশুর মৃত্যু, আক্রান্ত শতাধিক
প্রকাশিত:
২০ মার্চ ২০২০ ১৯:০৪
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৯

রাঙামাটির তিন গ্রামে গত এক সপ্তাহে হাম রোগে আক্রান্ত অন্তত ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় শতাধিক শিশু। রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন জানিয়েছেন, ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রাম অরুনপাড়া, নিউথাং পাড়া এবং হাইচপাড়ায় গত কয়েকদিনে হাম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এতে মূলত শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ৫ শিশু মারা গেছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে দুর্গমতার কারণে তিনি নিজেও সঠিক সময়ে খবর পাননি বলে জানিয়েছেন এই জনপ্রতিনিধি।
বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার আহসান হাবিব জিতু জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে দুর্গম ও সীমান্তবর্তী শিয়ালদহ এলাকার তিনটি গ্রামের শিশুদের হামে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাচ্ছিলাম। বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই তারা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে গ্রামগুলি অত্যন্ত দূরে এবং দীর্ঘ হাঁটা পথ হওয়ায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবা পৌঁছানো কঠিন হচ্ছে। শুক্রবার আরেকটি মেডিক্যাল টিম যাচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে আক্রান্ত শিশুদের হেলিকপ্টারে করে খাগড়াছড়ি শহরে নিয়ে যাওয়া হবে চিকিৎসার জন্য।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, আমরা জেনেছি দুর্গম ওই এলাকায় হঠাৎ হাম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। হাম থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে। আমরা জরুরি মেডিক্যাল টিম সেখানে পাঠিয়েছি। শুক্রবার বিজিবির সহযোগিতায় সেখানে হেলিকপ্টারে করে বিশেষ আরেকটি মেডিক্যাল টিম যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা বাঘাইছড়ির সবচে দুর্গম ইউনিয়ন সাজেক। এই ইউনিয়নের সাজেক পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া বাকি এলাকাগুলো অত্যন্ত দুর্গম। সেখানকার শিয়ালদহ এলাকাটিকে সবচে বেশি দুর্গম বলে বিবেচনা করা হয়। প্রায়ই সেখানে দুর্গমতার কারণে খাদ্যাভাব ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির ঘটনা ঘটে। ৬০৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সাজেক ইউনিয়নে লোকসংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার । কিন্তু যোগাযোগ দুর্গমতা ও সীমান্তবর্তী অনতিক্রম্য এলাকা হওয়ায় সরকারি জরুরি চিকিৎসা সেবা সেখানে নিয়মিত পৌঁছানো সম্ভব হয়ে উঠে না।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: