পটুয়াখালীতে ওঝার তদবিরের নামে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
প্রকাশিত:
২ অক্টোবর ২০২২ ০৫:০৪
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২১:৫৯

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ওঝার তদবির দেয়ার নামে এক গৃহবধূকে (২২) নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত ভোররাতে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাড়া গ্রাম থেকে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কলাপাড়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শহিদুল ইসলাম মুসল্লী (৩৫), আ. মালেক হাওলাদার (৫০) ও আলমগীর হোসেনকে (৩৬)। ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার (১ অক্টোবর) কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ওই নারীর বিয়ে হয়। তার নয় মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। নির্যাতিতা নারী অভিযুক্ত মালেক হাওলাদারের মেয়ে শিল্পী আক্তারের সঙ্গে ঢাকায় একই ফ্ল্যাটে থাকত। কয়েক মাস আগে আসামি শহীদুল ইসলাম শিল্পীর বাসায় যায়। তখন ভিকটিমকে তার পারিবারিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয় শহীদুল ইসলাম। এ জন্য ২০ হাজার টাকায় ওঝার মাধ্যমে সমাধানের চুক্তি হয়। প্রথমে ১৬, পরে চার হাজার টাকা পরিশোধ করেন ওই নারী। এক পর্যায়ে ওঝার তদবির নেওয়ার জন্য ওই নারীকে কলাপাড়ায় যেতে বলে।
আরও জানা যায়, ওই নারী ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে একটি বাসে একা কলাপাড়ায় যান। সেখানে গিয়ে প্রথম রাত শহীদুল ইসলামের স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন। দিনভর সেখানে অবস্থান করেন। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কৌশলে আ. মালেকের খালি ঘরে ডেকে নিয়ে দোতলায় তুলে প্রথমে শহীদুল পরে অপর দুইজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে রাত দুই টার দিকে হত্যা করে লাশ গুমের ভয় দেখিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে এবং চলে যেতে হুমকি দেওয়া হয় ওই নারীকে। পরে ওই রাতে নির্যাতিতা নারী কুয়াকাটায় থাকেন। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় গিয়ে বাবা-মাকে সব খুলে বলেন এবং কলাপাড়া থানার সহায়তা নেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসীম জানান, মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
ধর্ষণের অভিযোগ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: