চট্টগ্রামে জাহাজডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের ১ জনের লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত:
১৩ অক্টোবর ২০২২ ২১:১৯
আপডেট:
২২ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:২১

কর্ণফুলী নদীতে ‘এফবি মাগফিরাত’ নামে একটি জাহাজডুবির ঘটনায় সাইফুল ইসলাম নামে একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টায় লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
সাইফুল ইসলাম ওই জাহাজের চিফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ছয় জন।
এদিকে, একই জাহাজ থেকে ডুবে যাওয়ার সময় উদ্ধার একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কর্ণফুলী নদীতে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি একই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন কিনা জানা যায়নি। তার পরিচয় এখনও মেলেনি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে কর্ণফুলী নদীর ইছানগর সি-রিসোর্স ডকইয়ার্ড ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ‘এফবি মাগফিরাত’ ডুবে যায়। এরপর বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙরে বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় ‘এমভি সুলতান সানজা’ নামে পাথরবাহী লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। ওই জাহাজের নাবিকসহ ছয় জন নিখোঁজ রয়েছেন।
‘এফবি মাগফিরাত’ ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সাত জন হলেন—সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, স্কিপার ফারুক বিন আব্দুল্লাহ, গ্রিজার প্রদীপ চৌধুরী, ফিশিং মাস্টার মো. জহির উদ্দিন ও ডক মেম্বার রহমত মিয়া।
চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, ‘এফবি মাগফিরাত জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় সাত জন নিখোঁজ হন। এই জাহাজে মোট ২১ জন ছিলেন। ১৩ জন জেটিতে উঠতে সক্ষম হলেও সাত জন ডুবে যান। এর মধ্যে রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিখোঁজ জাহাজের চিফ অফিসার সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সদরঘাট নৌ থানার সামনে তার লাশ ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়। পরে স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। অপরদিকে দুর্ঘটনার সময় আহত অবস্থায় উদ্ধার মো. বসর নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে মারা গেছেন। সকাল ১০ টায় কর্ণফুলী নদীর ৬ নম্বর জেটি গেট এলাকা থেকে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে ওই লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। লাশটি ডুবে যাওয়া জাহাজের কেউ নাকি অন্য কারও, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।’
সম্পর্কিত বিষয়:
কর্ণফুলী নদী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: