ঠাকুরগাঁওয়ে আমের কেজি ১০ টাকা
প্রকাশিত:
৮ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৭
আপডেট:
২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৫০

ঠাকুরগাঁওয়ে পানির দরে বিক্রি হচ্ছে সুস্বাদু আম। প্রতি কেজি আম পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকায়। মৌসুমের শুরুতে ঢাকাসহ বাইরের পাইকাররা বাজারে না আসায় আম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
শনিবার (৭ জুলাই) সকালে সরেজমিনে বাজারে গিয়ে জানা যায়, দুপুর পর্যন্ত বসে থাকার পরও ক্রেতার অভাবে অনেকেই আম বিক্রি করতে না পেরে খালি হাতে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে জনপ্রিয় সূর্যপুরী আম গত বছর প্রতি মণ বিক্রি করেছেন ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এ বছর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মণ দরে আম নেওয়ার মতো ক্রেতাও মিলছে না।
আম বাগান মালিক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, বালিয়াডাঙ্গী জগদল থেকে সূর্যপুরী ও হাড়িভাঙা আম নিয়ে এসেছি। গতবারের তুলনায় এবারে আমের ফলন ভালো হলেও গতবারের চেয়ে দাম অনেক কম। আমের আমদানি বেশি হওয়ায় ক্রেতা নেই। প্রতি কেজি আম বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে।
আম ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে যারা আসে, তারা আম ক্রয় করে চলে যাচ্ছে। দুরুত্ব বেশি হওয়ায় আম পাঠাতে পাঠাতেই অর্ধেক পঁচে যায়। পরের বার এই আম পাইকাররা আর নেয় না। অনেক সময় আম নিয়ে যায় বাকিতে, বিক্রি হওয়ার আগেই যদি পঁচে যায়, তখন আর টাকা দেয় না। ২০০ টাকা ক্রেট বিক্রি করে লাভ আসে ১০ টাকা অথচ আমার ১৮টা লোক নিয়মিত কাজ করছে।
পীরগঞ্জ থেকে আসা আমচাষি হাসানুল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে আমের যা দাম তা দিয়ে খরচ উঠানো সম্ভব না। আমের ফলন ভালো হয়েছে তবুও পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার বাড়িতে অনেক পাকা আম পড়ে রয়েছে। সেগুলো ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এরপরেও ক্রেতার অভাব। আম পেকে পেকে পঁচে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আম গাছ থেকে পাড়ার পর তা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় না। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বিক্রি করতে না পারলে কৃষকের ক্ষতি হয়। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা এ বিষয়ে তদারকি করছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এবার ৫শ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু আম বিদেশে গেছে। কিছু দিনের মধ্যে আরও আম রপ্তানি হবে।’
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: