মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


ভাড়াটিয়ার ১৩ বছরের মেয়েকে কার্নিশ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ


প্রকাশিত:
৭ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৫৫

আপডেট:
২২ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৩৮

 ফাইল ছবি

ভাড়াটিয়ার ১৩ বছরের মেয়েকে ছাদ থেকে নিচে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল নগরীর ২৩নং ওয়ার্ড বসুন্ধরা হাউজিংয়ের আরিয়ান কটেজের মালিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ছাদের কার্নিসে আটকে থাকা জুতা নামানোর কথা বলে নিয়ে সেখান থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।

নিহত ওই শিশুটির নাম মাইশা আব্দুল্লাহ। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাইশা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শারমিন আক্তার দম্পতির বড় মেয়ে। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের সঠিখোলা এলাকায় তাদের মূল বাড়ি হলেও বরিশালের এই হাউজিংয়ে ভাড়া থাকতেন তারা। রোববার (৬ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটির মৃত্যু হয়।

মাইশার খালা ঝুমুর জানান, পাশের ভবনের চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া আবুল কালামের ছেলের এক পায়ের জুতা আরিয়ানা কটেজের তৃতীয় তলার সানশেডের ওপর পড়ে। যা আবুল কালামের স্ত্রী তাহারাত বেগম এনে দেওয়ার জন্য মাইশাকে বলে। মাইশা তাতে অপারগতা জানায়। ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ভবন মালিকের আত্মীয় শাহানাজ পারভীন মাইশাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর স্বজনরা মাইশাকে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। তখন শাহানাজ পারভীনকে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রথমে তিনি মাইশা ছাদে বলেন। পরক্ষণেই মাইশা ছাদ থেকে পড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

মাইশার মা শারমিন আক্তার ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে গিয়ে শাহানাজ পারভীনের শাশুড়ি বৃদ্ধ সেতারা বেগমকে দেখতে পান। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, মাইশা নিচে পড়ে গেছে। এরপর শারমিনসহ স্বজনরা ভবনের নিচে এসে মাইশাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৬ আগস্ট মৃত্যু হয় মাইশার।

মাইশার বাবা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার মেয়েকে ছাদের কার্নিশে জুতা তোলার জন্য ডেকে নেয়। কাজটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও তারা আমার মেয়েকে জোর করতে থাকে। তাদের কারণে আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তারা আমার মেয়েটাকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলেছে।

এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেনন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top