বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা চরাঞ্চলের মানুষের


প্রকাশিত:
২৬ মে ২০২৪ ১৯:৪১

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০৮

ছবি- সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাসে বরিশাল জেলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে সেখানে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ।

রোববার (২৬ মে) সরেজমিনে যাওয়ার পর ওই অঞ্চলের আবহাওয়া বিভাগ থেকে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমের সময় এসব চরের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলে।

এসব কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার মাইকিং করলেও তাতে কর্ণপাত করছে না ১০ উপজেলার চরাঞ্চলের নারী, শিশুসহ সব বয়সী লোকেরা। তাদের দাবি, অতীতে কোনো সময়ই ঘূর্ণিঝড়ের নির্ধারিত সময় বলতে পারেনি আবহাওয়া অফিস। তাই দিনের পর দিন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করাটা অমূলক। তাছাড়া অধিকাংশ মানুষ গবাদিপশু-আসবাবপত্র ফেলে যাওয়া অনিরাপদ মনে করে অনীহা দেখাচ্ছে।

তবে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনদীপ ঘরাই বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয়দের পৌঁছাতে পুলিশ-জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ করেছি। সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অবস্থা মোকাবেলায় প্রত্যেক উপজেলায় ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে। কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। মাইকিং চলছে। আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য সময়ে অমিল হওয়ার কারণ কি? এ প্রসঙ্গে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক বশির আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সম্ভাব্য সময় আমাদের প্রধান অফিস থেকে পাঠানোর পর আমরা ঘোষণা করে থাকি। তাই এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলতে পারবো না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top