শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


জোয়ারে ডুবে যায় ইলিশা ফেরিঘাট, চলাচলে বিঘ্ন


প্রকাশিত:
৩০ জুলাই ২০২৪ ১৩:২৫

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৩

ছবি সংগৃহিত

ভোলার সঙ্গে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জেলার যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ইলিশা ফেরিঘাট। মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে এই ঘাটের সংযোগ সড়ক ও পন্টুন ডুবে গিয়ে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে।

ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ভিজে ফেরিতে ওঠানামা করছেন। এছাড়া কয়েকঘণ্টা বন্ধ থাকে ফেরিতে গাড়ি ওঠানামা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটে চলাচলকারী পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা।

দ্বীপ জেলা ভোলার সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে চলাচলের একমাত্র পথ ইলিশা-মজুচৌধুরীর হাট নৌরুট। বর্ষা এলে এই রুটে লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল করে। ফেরি চলাচল করায় যাত্রী চাপ থাকে অস্বাভাবিক। কিন্তু মেঘনা নদীর পানি ফুলে ওঠায় জেলা শহরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ইলিশা ফেরিঘাট এলাকাও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই রুটে প্রতিদিন ৫টি ফেরি চলাচল করে।

আরও পড়ুন: সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে দেশজুড়ে শোক আজ

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেঘনা নদীর অতি জোয়ারের পানিতে ভোরে ও দুপুরে তলিয়ে যাচ্ছে ঘাটের সংযোগ সড়ক ও পন্টুন। কাভার্ডভ্যানচালক খোকন মাতবর বলেন, সকাল ৯টায় ইলিশা ফেরিঘাটে এসে বসে আছি। ফেরিতে ওঠার রোড ডুবে থাকায় উঠতে পারছি না। এখন বিকেল ৩টা বাজে। এভাবে প্রতি ট্রিপে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

আরেক ট্রাকচালক আব্দুল্লাহ বলেন, জোয়ারের পানির কারণে গাড়ি উঠাতে পারছি না। নদীতে ভাটা পড়লে ফেরিতে গাড়ি উঠাব। দীর্ঘদিন ধরে ইলিশা ফেরি ঘাটের এ অবস্থা, কোনো সমাধান হয় না। এতে আমরা যারা মালামাল পরিবহন করি তাদের ওপর বাড়তি চাপ থাকে। দেখা যায় দীর্ঘসময় রাস্তায় থাকায় মালামাল পঁচে যায়। তখনতো ব্যবসায় লোকসান হয়।

পন্টুনে উঠতে উঠতে ভিজে যান নোয়াখালীগামী যাত্রী শামীম মিয়া। তিনি বলেন, কোমর পর্যন্ত পানি ডিঙিয়ে পন্টুনে উঠতে পেরেছি। কর্তৃপক্ষ চাইলেই এই জায়গাটা উঁচু করতে পারে। কেন করছে না জানি না। প্রতি বছর এই রুটের লোকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

বেগম সুফিয়া কামাল ফেরির সহকারী মাস্টার আসাদুল্লাহ জানান, জোয়ারের সময়ে ইলিশা ফেরিঘাটের দুইটি ঘাট তলিয়ে থাকে। এজন্য পরিবহন, যাত্রী ওঠানামা করতে পারে না। এই রুটে চলাচলের জন্য জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করতে হয়।

বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নৌ-বন্দরের সহকারী পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি জোয়ারের কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। জোয়ার কমলে সমস্যাটা আর থাকে না। এছাড়া একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ইলিশা ঘাট আধুনিক করার পরিকল্পনা আছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সমস্যার সমাধান হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top