দেশের ৫ জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ২০০, মুক্ত ৯০০
প্রকাশিত:
৮ এপ্রিল ২০২০ ০৩:১১
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ০৭:১৪

করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে গত ২৪ ঘন্টায় পাচঁ জেলায় আরও ২০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া সংক্রমনের কোন প্রমাণ না পাওয়ায় ৯০০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, গাইবান্দা, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। জেলাভিত্তিক খবর:-
সাতক্ষীরা: দিনভর ভারতের ঘোজাডাঙ্গা জিরো পয়েন্টে অপেক্ষা শেষে সন্ধ্যায় ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে নিজ দেশে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী নারী পুরুষ। সোমবার সকাল ১০টায় তারা ভারতের ঘোঁজাডাঙ্গা ইমিগ্রেশন অফিসে পাসপোর্ট এন্ট্রি করে জিরো পয়েন্টে আসার পর বিজিবি তাদের দেশে ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু বিএসএফ তাদের পাসপোর্ট এন্ট্রি করায় পুনরায় ভারতে প্রবেশ করতে না দিলে দিনভর ঘোজাডাঙ্গা জিরো পয়েন্টে অপেক্ষা করেন।
অবশেষে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিজিবির সহযোগিতায় সন্ধ্যায় ভোমরা ইমিগ্রেশন হয়ে নিজ দেশে পা রাখেন তারা। সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান তাদের সদর হাসপাতালে আনার পর সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাদের সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ভবনের কোয়ারেন্টাইনে রাখেন। সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত জানান, ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তারা নিজ বাড়িতে ফিরতে পারবেন।
গাইবান্ধা: গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর করোনাভাইরাস সংক্রমনের কোন প্রমাণ না পাওয়ায় ৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নতুন করে আরও ২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এনিয়ে জেলার সাত উপজেলায় ১৫৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না জানা পর্যন্ত তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। গত রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামের মো. ফজলু মিয়ার ছেলে নারায়নগঞ্জ ফেরত আব্দুর রাজ্জাক তার নিজ বাড়িতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। পরে মৃত ব্যক্তির বাড়ির আশেপাশে ৬টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এছাড়া যে চিকিৎসক তার চিকিৎসা করেছিল তাকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম আবু হানিফ।
দিনাজপুর: দিনাজপুর জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে সুস্থ্য হওয়ায় ৭৮০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে সুস্থ্য হয়ে একজন বাসায় ফিরেছে। এছাড়াও হোম কোয়ারেন্টাইনে সংখ্যা ৫ জন বেড়ে গিয়ে ১৯ জনে চলে এসেছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস। তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ১৯ জনে এসেছে। আর করোনাভাইরাস না পাওয়ায় ইতোমধ্যে ৭৮৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: শিবগঞ্জে পাচঁজন ও গোমস্তাপুরে একজনসহ ৬ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শিবগঞ্জে করোনা উপসর্গ থাকা সন্দেহে মঙ্গলবার দুপুরে ৫ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রেখেছে প্রশাসন। শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়রা খান জানান, শিবগঞ্জ সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পশ্চিমে সড়কের ধারে আলিফ ডিজিটাল মেডিকেল সেন্টারের কয়েকটি রুমে পৃথকভাবে তাদেরকে রাখা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় প্রবেশ পথে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। চাঁপইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, শিবগঞ্জে ৫ জন ও গোমস্তাপুর ১ জনসহ ৬ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: