ছাত্রলীগ নেতা মিরু হত্যা: মাস্টার মাইন্ড হিমেল গ্রেফতার
প্রকাশিত:
২৮ মার্চ ২০২১ ২০:১৩
আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২১ ২২:৪৫

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরু হত্যা মামলার মাস্টার মাইন্ড হিমেলকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকার লালবাগ থানার শহীদনগর এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার হিমেল সিংগাইর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আজিমপুর এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি সিংগাইর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র সংসদের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংগাইর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেফতার আসামির তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি দা, একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার আসামি উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আঙ্গুর আদালতে ফৌ. কা. বি. ১৬৪ ধারামতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিংগাইর পুলিশ এবং ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত ১ মার্চ দিবাগত রাতে স্থানীয় এমপি মমতাজ বেগমের গানের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরু (২৭)।
রাত ১টার দিকে উপজেলা সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। পর দিন ২ মার্চ দুপুরে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত ৩ মার্চ নিহত ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেনের ভাই রিয়াজুল করিম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ কে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সিংগাইর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মো. দুলাল ও তার বড় ভাই উপজেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতা জালাল উদ্দিন ওরফে আঙ্গুরকেও আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ৩ মার্চ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইমরান মোল্লা (২০), ইমান আলী (৩০) এবং সোহান মোল্লাকে (১৭) গ্রেফতার করে পুলিশ।
৪ মার্চ আসামি ইমরান ও ইমান আলীকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এবং শিশু সোহানকে শিশু আদালতে পাঠানো হয়। এ দিন আসামি ইমরান ও ইমান আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলামের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দি দেন উপজেলার চর নয়াডাঙ্গী গ্রামের কাজী আয়নাল হকের ছেলে কাজী কাউছার (১৮) এবং চর আজিমপুর গ্রামের সায়েম ফকিরের ছেলে মো. হাবিবুল্লাহ ওরফে রাকিব (১৮)। এরাও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছেন।
মামলার তদন্তকারী ওই কর্মকর্তা সিংগাইর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, এ পর্যন্ত গ্রেফতার সব আসামি ১৬৪ ধারামতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পূর্বশত্রুতার জের ধরে আসামিরা ফারুক হোসেন মিরুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বলে আদালতে স্বীকার করেছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি
সম্পর্কিত বিষয়:
পুলিশ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: