২৬ বছর পর কাশেম হত্যার রায়: একজনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত:
২৯ মার্চ ২০২১ ১৯:৪১
আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২১ ২০:০৪

খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার রায়ে এক আসামির মৃত্যদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আসামির নাম মো. তারিক হোসেন। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো সোমবার এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া তারিক হোসেন পলাতক রয়েছেন।
এ মামলায় অপর ৬ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন তরিকুল হুদা টপি (পলাতক), আব্দুল গফফার বিশ্বাস, ওসিকুর রহমান (পলাতক), মুশফিকুর রহমান (পলাতক), মফিজুর রহমান (পলাতক), মিল্টন ওরফে আনিসুর রহমান (পলাতক)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, খুলনা থানার অদূরে বেসিক ব্যাংকের সামনে ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন খুলনার জাতীয় পার্টির নেতা শেখ আবুল কাশেম ও তার ড্রাইভার মিকাঈল হোসেন। খুলনা থানায় মামলা দায়ের হলেও পরে তদন্তের দায়িত্ব পড়ে সিআইডি’র ওপর। তারা দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৯৯৬ সালের ৫ মে ১০ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় কাজী আমিনুল হক, সৈয়দ মনিরুল ইসলাম (মৃত), তরিকুল হুদা টপি, আব্দুল গফফার বিশ্বাস, ইকতিয়ার উদ্দিন বাবলু (মৃত), ওসিকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, মফিজুর রহমান, মিল্টন ও তারেক।
আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার কাজ ১৯৯৭ সালে ৮ জুন শুরু হলেও প্রথম দিনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিআরপি ৪৯৪ ধারা মতে প্রজ্ঞাপনে অভিযোগপত্র থেকে কাজী আমিনুল হকের নাম বাদ দেওয়া হয়। বাদীপক্ষ এই প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করলে প্রথমে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। পরে কাজী আমিনুল হককে বাদ দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয় বাদীপক্ষ। পরবর্তীতে এ মামলার অপর আসামি সৈয়দ মনিরুল ইসলাম নিজের অংশ বাদ রেখে বিচার চালানোর আবেদন করলে উচ্চ আদালত মামলার বিচার কাজ স্থগিত করে। ২০০৮ সালে ২৪ এপ্রিল খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পুনরায় বিচার কাজ শুরু হয়। ওই সময় মোট ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য হওয়ার পর একই বছরের ২০ নভেম্বর মামলাটি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফেরত আসে।
সম্পর্কিত বিষয়:
খুলনা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: