শীতলক্ষ্যায় লঞ্চকে ধাক্কা দেওয়া সেই কার্গো জব্দ, চালকসহ আটক ১৪
প্রকাশিত:
৮ এপ্রিল ২০২১ ২১:৩৪
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৭

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় চালকসহ ১৪ জনকেআটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় কার্গো জাহাজটিও জব্দ করা হয়েছে। ওই কার্গো জাহাজের নাম এসকেএল-৩।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নোঙর করা অবস্থায় কার্গো জাহাজটি আটক করে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড পাগলা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আশমাদুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ কয়লাঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর দ্রুত কার্গো জাহাজটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় চলে যায়। সেখানে জাহাজটি রঙবদলে ফেলা হয়। কার্গোটি গজারিয়ার কোস্টগার্ড স্টেশনের কাছাকাছি নোঙর করা ছিল।
সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই কার্গো জাহাজটি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় কার্গোটির চালকসহ আটক করা হয়েছে ১৪ জনকে।
এর আগে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবিতে হতাহত হওয়ার ঘটনায় কার্গোর চালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় হত্যার অভিযোগ এনে মামলাটি করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) বাবু লাল বৈদ্য।
গত রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে সাবিত আল হাসান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়।
এক শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধার অভিযানে ডুবে যাওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুর ১২টায় লঞ্চটি টেনে পাড়ে তোলে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
এ সময় লঞ্চের ভেতর থেকে একে একে ৩৫ জনের মরদেহ বের করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। এর পর সোয়া ১টায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন বিআইডব্লিটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক।
হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী কার্গোটি চালিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
কোস্টগার্ড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: