ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ‘কাটা পা’ নিয়ে মিছিল, মূল হোতা গ্রেপ্তার
প্রকাশিত:
১৩ এপ্রিল ২০২০ ১৮:৫৪
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০৬:১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে রবিবার হওয়া দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ দুই মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪২ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটকদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রধান দুই হোতা কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লাও রয়েছেন। আবু কাউসার মোল্লাকে রোববার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বায়েক এলাকা এবং জিল্লুর রহমানকে সোমবার ভোরে ঢাকার কলাবাগান এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সংঘর্ষের ঘটনার মূলহোতা কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে সোমবার ভোরে ঢাকার কলাবাগান থেকে ও থানাকান্দি গ্রামের কাউছার মোল্লাকে রবিবার গভীর রাতে আশুগঞ্জের বায়েরক গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় ওই দুজনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঙ্গে থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লার বিরোধ চলছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলা এ বিরোধের জেরে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার (৪৫) এক পা কেটে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা। ওই মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: