বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান; সাবেক প্রেমিকার মুখে ছুরিকাঘাত
প্রকাশিত:
১ জুন ২০২১ ২১:২৪
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০২:২৭

অন্যখানে বিয়ে হয়ে যাওয়া সাবেক প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু তাতে সাবেক প্রেমিকা রাজি হন না। তাই তাকে ছুরিকাঘাত করে জখম করেছেন ওই যুবক।
রোববার (৩০ মে) বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাটাদিয়া বাড়ৈকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে তার সঙ্গে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পরিচয় হয়। বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউপির বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি পেশায় একজন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক। পরিচয় থেকে ইব্রাহিমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তবে ইব্রাহিমের আগে বিয়ে হওয়ার বিষয়টি গোপন ছিল।
এদিকে মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের খবর পরিবার জানতে পেরে তাকে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। এরপর তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিন বছর পর আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। এই সুবাদে আবার ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা হয়।
স্বামী-সন্তান থাকলেও তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ইব্রাহিম। এতে রাজি না হওয়ায় কয়েক দফা তাকে এবং তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসেন ইব্রাহিম। সর্বশেষ রোববার সকালে স্বজনদের নিয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে সাবেক প্রেমিক ইব্রাহিম দলবল নিয়ে কাটাদিয়া বাড়ৈকান্দি এলাকায় পথরোধ করে।
ছাত্রীর স্বজনরা বলছেন, এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ইব্রাহিম তার বাড়িতে তুলে নিতে চান। এতে ব্যর্থ হলে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তার মুখে আঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, রোববার ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মুখে ছুরিকাঘাতের দুটি চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, এ ঘটনা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: