আগুনমুখায় বিলীন হতে চলেছে চালিতাবুনিয়া!
প্রকাশিত:
২৫ জুলাই ২০২১ ১৬:১৭
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৭

পটুয়াখালীর জেলাধীন রাঙ্গাবালী উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন চালিতাবুনিয়া। প্রায় বিশ হাজার মানুষের বসবাস এখানে। নদীভাঙ্গনে বাস্তু হারিয়ে নিস্ব এখানের শত শত পরিবার। আগুনমূখা নদীতে স্রোত বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে ভাঙ্গনের তীব্রতা। দ্রুতই কমছে ভূখন্ডের আয়তন। ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে কেউ হয়েছে ভূমিহীন; কেউ একেবারে নিঃস্ব।
প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ে। এতে শুধু ভিটা-বাড়িই ভাঙ্গে না; ভাঙ্গে শত শত স্বপ্ন। নানা প্রতিকূলতার মাঝে একটু ঘুরে দাড়াতেই সর্বশান্ত হয় এখানের স্বপ্নগুলো। নদীগর্ভে বাড়ি-ঘর হারিয়ে এলাকা ছেড়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে যারা টিকে আছে তারাও জোয়ারে ডুবছে আর ভাটায় ভাসছে।
প্রতিনিয়ত বাস্তুহারা জনগণের করুণ আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠছে এখানকার আকাশ বাতাস। অথচ তাদের রাস্তায় এগিয়ে আসছে না কেউ। চালিতাবুনিয়া উত্তর চালিতাবুনিয়া, মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, গোলবুনিয়ায় গ্রামে এমন চি দেখা গিয়াছে। প্রচুর জমি জমার মালিক এক রাতেই হয়েছেন সহায় সম্বলহীন। এদের মধ্যে কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেনে বেড়ী বাঁধের উপরে; কেউ আবার রাস্তার ধারে ডোবার উপরে মাচা পেতে থাকছেন। একমাত্র আশ্রয় কেন্দ্রটিও বিলীন হয়ে গেছে আগুন মূখা নদীর গর্ভে। দূর্যগপুর্ণ আবহাওয়ায় মাথা গোজার ঠাই হয়না তাদরে। যাদের জমি আছে বেড়িবাঁধ না থাকায় তাদের নেই ফসল। মৃত্যু যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাদের। তাই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং টেকসই ব্লক বসিয়ে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নকে রক্ষা করার দাবী এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী জানান, ‘গত তিন বছরে এখানের শতাধিক বাড়ি ঘর নদীতে ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। এখন অনেক পরিবারের থাকার মত জায়গা নেই। বেড়িবাঁধ না থাকার কারনে জমিতে ফসল হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, আগুনমূখা নদীর মধ্যে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে প্রায় বিশ হাজার মানুষের বসবাস। উজানের স্রোত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এ ভূখন্ড বিলীন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’ এখানে টেকসই বেড়ি বাঁধসহ দুইটি স্লুইস গেট নির্মাণ প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: