লিচুর বাম্পার ফলন
করোনায় দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিনাজপুরের লিচু চাষীরা
প্রকাশিত:
২০ মে ২০২০ ২১:৫৮
আপডেট:
২০ মে ২০২০ ২২:০০

দিনাজপুরে এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু ভালো ফলনের পরেও কাঙ্খিত দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাগান মালিক ও কৃষকেরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেখা দিয়েছে এ শঙ্কা। চলতি মাসের শেষে বাজারে আসবে লিচু। তবে এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ হলে বাগান মালিক ও কৃষকদের সরকার ঘোষিত প্রণোদনার আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
দিনাজপুরের সদর, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, বিরল, বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, খানসামা, ফুলবাড়ী ও বিরামপুরসহ ১৩ উপজেলাতেই কমবেশি লিচুর বাগান রয়েছে। এখন লিচুতে ভরে গেছে বাগানগুলো। আর কয়েকদিন পরই মধুমাসে গাছে গাছে ভরে যাবে বোম্বাই, মাদ্রাজি, কাঠালি, চায়না, চায়না থ্রি আর বেদানাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাকা লিচু।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬ হাজার ৫’শ হেক্টর জমির লিচুর বাগানে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর ৫ হাজার ১৮৪ হেক্টর জমির লিচুর বাগানে উৎপাদন হয়েছিল ৩০ হাজার মেট্রিক টন। দিনাজপুরে যেসব স্থানে লিচু চাষ হয় তার মধ্যে সদর উপজেলার মাসিমপুর ও বিরল উপজেলার মাধববাটী উল্লেখযোগ্য।
দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর এলাকার মমিনুল ইসলাম, পার্বতীপুর উপজেলার যশাই হাটের মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন এলাকার লিচু চাষীরা জানান, দিনাজপুরের বাগানগুলোতে এখন লিচুর দানা এসেছে। গাছে গাছে মাদ্রাজী, বোম্বাই, কাঠালি, চায়না, চায়না থ্রি আর বেদানা লিচুতে ভরে গেছে। থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা সবুজ রংয়ের লিচু যেন অপেক্ষায় আছে জ্যৈষ্ঠ মাসের। মে মাসের শেষে বা জুনের প্রথম সপ্তাহে লিচু পাকতে শুরু করবে। পোকা দমনে কীটনাশক, সেচসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকের বাগান বিক্রি হয়নি। লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটও রয়েছে তাই কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি বলে জানান অনেক চাষী ও বাগান মালিক।
এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বাজারে লিচু কেনাবেচায় সরকারের সহযোগিতাসহ প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন বাগান মালিকদের।
এ ব্যাপারে আজ বুধবার দুপুরে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ তৌহিদুল ইকবাল বলেন, এ বছর যে পরিমাণে লিচু হয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খুব শিঘ্রই তা বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত করা হবে। ভালো ফলনে লিচু চাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রেখে তাদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। বাগান মালিক ও কৃষকরা যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রয়েছে। তবে এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ হলে বাগান মালিক ও কৃষকদের সরকার ঘোষিত প্রণোদনার আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: