বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, পুত্রবধূ আটক
প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৫৮
আপডেট:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:২৪

নওগাঁর মান্দায় বসতবাড়ির তালাবদ্ধ শয়নকক্ষ থেকে আকলিমা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের পুত্রবধূ লাইলি বেগম (২৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতের ছেলে আবুল কাশেম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের পারনুরুল্লাবাদ গ্রাম থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আকলিমা বেগম ওই গ্রামের মৃত নূর উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, নিহত বৃদ্ধার তিন ছেলে আবুল কাশেম, আজিজুল ইসলাম ও আবু তালেব। বৃদ্ধা ছোটছেলে আবু তালেবের সাথে বসবাস করে আসছিলেন। তবে তিনি অন্য ছেলেদেরও বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ঘটনার কয়েকদিন আগে আকলিমা বেগম মেঝছেলে আজিজুলের বাড়িতে আসেন।
আজিজুল ঢাকায় মাইক্রোবাসের চালক হিসাবে কর্মরত। সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিহতের পুত্রবধূ লাইলি বেগম পুলিশ জানায় তার শাশুড়ীকে কে বা কারা হত্যা করেছে। তার কথামত শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে আকলিমা বেগমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়, জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে পুত্রবধূ লাইলি বেগম জানান, স্বামী আজিজুল ইসলাম ঢাকায় থাকেন, বাড়িতে আমি একাই থাকি। গত বৃহস্পতিবার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য শাশুড়ি আকলিমা বেগমকে রেখে যাই। সোমবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে সদর দরজা তালাবদ্ধ দেখে আশপাশের বাড়িতে শাশুড়ির খোঁজ করি। তাকে না পেয়ে সন্ধ্যার দিকে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে শাশুড়িকে খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেই।
এদিকে নিহতের বড় ছেলে আবুল কাসেম বলেন, মা আকলিমা বেগম ছোটভাই আবু তালেবের বাড়িতে থাকেন। মেঝভাই আজিজুল ইসলামের স্ত্রী লাইলি বেগম বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য মাকে রেখে তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যায়। লাইলী ফিরে এসে বলেন মাকে কেউ হত্যা করে গেছে। যারাই এই জঘন্যতম কাজ করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, বৃদ্ধা আকলিমাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের পুত্রবধূ লাইলি বেগমকে আটক করা হয়েছে।
পারিবারিক কোন দ্বন্দ্ব থেকে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ওসি শাহিনুর।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: