গাছতলায় চিকিৎসা হচ্ছে শিশুদের!
প্রকাশিত:
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:১৪
আপডেট:
১৫ অক্টোবর ২০২১ ০৬:০০

কিছুদিন থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে শিশুদের শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়া জনিত রোগ। যে কারণে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। এতে করে রোগীর সামালদিতে ও জায়গার ব্যবস্থা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে।
হাসপাতালে সিট না পেয়ে ও হাসপাতালের ভিতরে মেঝেতে জায়গা না পেয়ে শিশু ওয়ার্ডের বাহিরের গাছতলায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে শিশুদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর ও তার বাহিরে গাছতলায় শিশুদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। হাসপাতালের মূল ফটকের পাশে খানিকটা জায়গাজুড়ে যেসব গাছ রয়েছে তার নিচেই বিছানার চাদর পেতে শুয়ে-বসে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা করাচ্ছেন অভিভাবকেরা।
হাসপাতালের ৪৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডটিতে গত বুধবার ভর্তি ছিল ২০৩ শিশু। বৃহস্পতিবার ভর্তি আছে ২৩৫ শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ শিশুই শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় ভুগছে।
সরেজমিন দেখা যায়, জায়গা না হওয়ায় এক শয্যায় দুই থেকে তিনজন শিশুকে রাখা হচ্ছে। ওয়ার্ডের মেঝে, বারান্দা ও অভিভাবকদের বসার জায়গায় রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শিশুদের। যাঁরা ওই সব জায়গায়ও স্থান পাননি তাঁরা আশপাশের ভবন, এমনকি গাছতলায় বিছানা পেতে শিশুদের চিকিৎসা করাচ্ছেন। আর রাতে তাঁরা জায়গা নেন হাসপাতালের অন্য ফাঁকা জায়গায়।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিভাগের চিকিৎসক শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, ‘হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তাদের বেশির ভাগই শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর ও পেটের ব্যথায় আক্রান্ত। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ‘স্বাভাবিক সময়ে ৬০ থেকে ৭০ শিশু ভর্তি থাকে। এখন ১৭০ থেকে ১৮০ শিশু ভর্তি থাকছে হাসপাতালে। গতকাল ৪৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল ১৯৩ শিশু রোগী। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা আরো বেড়েছে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, ‘হাসপাতালে শিশু রোগীর সেবা মানসম্মত হওয়ায় আশপাশের জেলার অনেক এলাকার অভিভাবক তাঁদের শিশুদের এখানে এনে চিকিৎসা করান। এ কারণে এই হাসপাতালে সব সময় শিশু রোগীর চাপ থাকে। শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত রোগীদের শয্যায় গাদাগাদি করে, মেঝেতে ও বারান্দায় বা বাহিরে থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: