শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


বিশ্বের ৩৪ দেশে সম্প্রচারিত হতো হেলেনার জয়যাত্রা টিভি


প্রকাশিত:
৪ আগস্ট ২০২১ ০১:৪৭

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০০

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের জয়যাত্রা আইপি টেলিভিশন বিশ্বের ৩৪ দেশে সম্প্রচার হতো। হংকংয়ের স্যাটেলাইট চ্যানেলের তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়ে তিনি তার টিভির সম্প্রচার করতেন।

হেলেনার সহযোগী হাজেরা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন তথ্য জানতে পেরেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (০৩ আগষ্ট) সকালে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে হেলেনার সহযোগী হাজেরা ও সানাউল্ল্যাহ নূরীকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে জয়যাত্রা টেলিভিশনের জিএম হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন হাজেরা খাতুন। তখন থেকে তিনি জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন ও টেলিভিশনের বিভিন্ন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

খন্দকার আল মইন বলেন, হাজেরা খাতুন হেলেনার দূরের আত্মীয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জয়যাত্রা টিভি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। ২০১৮ সালে জয়যাত্রা কথিত আইপি টিভি যাত্রা শুরু করে। হংকংয়ের একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলের তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩৪টি দেশে স্বাভাবিকভাবে সম্প্রচার করে আসছিল জয়যাত্রা টিভি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়ে সম্প্রচার করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হাজেরা জানিয়েছেন, তারা ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে হংকংয়ের ওই স্যাটেলাইট চ্যানেল থেকে তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়েছিলেন। আর এই স্যাটেলাইটের রিসিভার বাংলাদেশের ৫০টি জেলায় তাদের নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাবল অপারেটরদের সরবরাহ করেছিল। যেসব প্রতিনিধি ক্যাবল অপারেটরদের এই রিসিভার দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সেসব প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের ৫০টি জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিল জয়যাত্রা টেলিভিশন। জেলা প্রতিনিধির কাছ থেকে এককালীন ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা নেওয়া হতো। উপজেলা প্রতিনিধির থেকে এককালীন ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়া হতো। এছাড়া জেলা প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা নিতেন হেলেনা। আর উপজেলা প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতিমাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকা নিতেন।

এছাড়া দেশের বাইরের প্রতিনিধি নিয়োগে ১ থেকে ৫ লাখ টাকা নেওয়া হতো এবং তাদের কাছ থেকে মাসে মাসে ২০ হাজার করে নিতেন বলে জানান খন্দকার আল মইন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top