রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১

https://rupalibank.com.bd/


বাড়ছে এসির দাম


প্রকাশিত:
৬ জুন ২০২৪ ১৬:২২

আপডেট:
৬ জুন ২০২৪ ২০:৪৪

ফাইল ছবি

এয়ার কন্ডিশনার (এসি) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এতদিন রেয়াতি হারে কম্প্রেসর আমদানি করতে পারত। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সেই রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে বাড়তে যাচ্ছে বিলাসবহুল এ পণ্যটির দাম।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনে বিষয়টি তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুসারে রেয়াতি হারে কম্প্রেসর আমদানি করতে পারে। এয়ারকন্ডিশনার স্বল্প আয়ের জনগণ ব্যবহার করে না বিধায় এর আমদানি শুল্কে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি। এছাড়া বর্তমানে দেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসর উৎপাদন হয় বিধায় এ ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন হতে কম্প্রেসর প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি।

তিনি আরও বলেন, এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনটি জুন, ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ রাখার লক্ষ্যে এর কার্যকারিতার মেয়াদ উল্লেখ করার সুপারিশ করছি। এছাড়া দেশীয় কম্প্রেসর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহৃত কম্প্রেসর আমদানিতে ন্যূনতম মূল্য ধার্য করার প্রস্তাব করছি।

এটা অর্থমন্ত্রী আবুল হাসানের প্রথম ও স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। নানা সংকটের মধ্যেও নতুন অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে। এজন্য এবারের বাজেট প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top