বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


স্বেচ্ছায় অবসরে গেলেন ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর


প্রকাশিত:
৩১ জুলাই ২০২৪ ১৩:১২

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০২

ফাইল ছবি

স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আলোচিত সদস্য মতিউর রহমান। বুধবার (৩১ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মকিমা বেগম সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মো. মতিউর রহমান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ-এ সংযুক্ত এর চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা-৪৪(১) ও ধারা-৫১ অনুযায়ী আগামী ২৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সরকারি চাকরি হতে অবসর (ঐচ্ছিক) প্রদান করা হলো। এ সময়ে অবসরজনিত আর্থিক সুবিধা অবসর উত্তর ছুটি, লাম্পগ্র্যান্ট এবং পেনশন পাবেন না।

মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল এবং ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে।

এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

আলোচিত মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব টিম কাজ করছে। গত ৪ জুন তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

আর গত ২ জুলাই মতিউর ও তার দুই স্ত্রী ও ২ সন্তানের সম্পদের বিবরণ জমা দিতে নোটিশ দিয়েছিল। এর আগে ৩০ জুন মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক।

অনুসন্ধান পর্যায়ে গত ১১ জুলাই ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ২৩৬৭ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত। তার আগে গত ৪ জুলাই মতিউর ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১০১৯ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দেয় আদালত।

এনবিআর সদস্য ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত দুই যুগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান তিনি। সর্বশেষ তাকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়েছিল। সেখানে থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে গেলেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top