শেষ কর্মদিবসে ব্যাংকে বাড়তি চাপ
প্রকাশিত:
২৭ মার্চ ২০২৫ ১৬:০৩
আপডেট:
৩১ মার্চ ২০২৫ ০৩:১৪

পবিত্র ঈদ উল ফিতরের নয় দিনের ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। আজ ছিল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। এদিন সরকারি দফতরসহ অধিকাংশ অফিস ঢিমেতালে চললেও বাড়তি চাপ ছিল বাণিজ্যিক ব্যাকগুলোতে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিলে দেখা যায় প্রত্যেক ব্যাংকের শাখাগুলোতে ছিল লম্বা লাইন। কেউ টাকা তুলছে আবার কেউ জমা দিচ্ছে। তবে টাকা জমা দেওয়ার চেয়ে উত্তোলনের ভিড় ছিল বেশি। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় জনবল কম দেখা গেছে। কারণ অনেকেই অতিরিক্ত ছুটি নিয়ে ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। আবার কেউ কেউ আগেভাগেই অফিস থেকে বের হয়েছেন। যার ফলে যারা অফিস করছেন তাদের ওপর পড়েছে বাড়তি চাপ।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিত্র ছিল ভিন্ন। নির্ধারিত ছুটির সাথে অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছেন অনেকে। ফলে দুইদিন আগেই ঢাকা ছেড়েছেন তারা। এছাড়াও আজ দুপুর হতে না হতেই ফাঁকা হয়ে যায় অনেক ডেস্ক। দুপুরের আগেই যার যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এদিকে পোশাক শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন ও উৎসব ভাতা প্রদানের জন্য শুক্র ও শনিবার শিল্প এবং বাণিজ্যিক এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকছে। ছুটির মধ্যে ঢাকা মহানগর, টঙ্গী, আশুলিয়া, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের শিল্প এলাকায় মিলবে ব্যাংক সেবা। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে।
এছাড়াও সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকার ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, বুথ সপ্তাহের ৭ দিনই চালু থাকবে। ছুটির দিনে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সচল রাখতে, স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অন্যদিকে ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস), অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে এবং মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) সার্বক্ষণিক চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: