পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা যাবে, অগ্রগতি কত দূর?
প্রকাশিত:
১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৪৩
আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:২৭

পতিত শেখ হাসিনা সরকারের প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে দেশ থেকে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে যার পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। পাচার হওয়া এই অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে সম্পর্কে সম্প্রতি একটি ধারণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
এর আগে গত মাসে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি বছরের মধ্যেই পাচার হওয়া অর্থের কিছু অংশ ফেরত আনা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাচারের অর্থ ফেরত পাওয়ার কাজটি কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তারা সরকারকে সতর্কতা অবলম্বনেরও পরামর্শ দিয়েছেন।
অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরের বক্তব্য
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে অর্থ পাচার বিষয়ক এক সভায় পাচার করা অর্থ ফেরত আনা নিয়ে তারা কী করছেন, তা জানান। গভর্নর বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে পাচার করা সম্পদের বড় একটি অংশ জব্দ করা হবে। এজন্য আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছি। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে চিঠি দিচ্ছি। বিদেশি আইনি সংস্থা বা ফার্মের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে, এ কাজে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে আমরা বেশ কিছু সম্পদ যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতাও পাচ্ছি। এই প্রক্রিয়ায় ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে।’
একই অনুষ্ঠানে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫-১৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণের একটা ধারণাও দেন। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমার ধারণা আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। চট্টগ্রামের একটি বড় গ্রুপ অন্ততপক্ষে সোয়া লাখ কোটি টাকা থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা নিয়েছে ব্যাংকিং খাত থেকে। আরও কিছু গ্রুপ আছে যারা ২০, ৪০, ৫০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। আমার ধারণা বড় গ্রুপগুলোর আড়াই-তিন লাখ কোটি টাকা হতে পারে। ছোটগুলো বাদে। সেগুলোও আদায় করতে হবে অর্থঋণ আদালতসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়ায়। বেক্সিমকোর পাচার হওয়ার অর্থ ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো। এগুলো শুধু বড় গ্রুপ। ছোটগুলোকে আপাতত দেখছি না।’
তবে গত ২ ডিসেম্বর অর্থনীতি নিয়ে যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
গত ১১ মার্চ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চলতি বছরের মধ্যেই পাচার হওয়া অর্থের কিছু অংশ ফেরত আনা সম্ভব হবে। এব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।’
তিনি আরো জানান, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করব। এই জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি সই করব।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্যের আপডেট জানাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র এবং নির্বাহী পরিচালক আরিফ হাসান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এব্যাপারে আমরা পুরোপুরি অন্ধকারে আছি। গভর্নর মহোদয়ের কাছে নিশ্চয়ই কোনো তথ্য আছে, তিনি সেভাবে বলেছেন। আর টাস্কফোর্সের কাছে কোনো তথ্য থাকতে পারে।’
প্রসঙ্গত, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে টাস্কফোর্স গঠন করেছে তার অন্যতম সদস্য হলো বিএফআইইউ।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সদ্য সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ কে এম এহসান গত ডিসেম্বরে ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর কোনো টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তবে রিজার্ভ হ্যাক করে যে টাকা নেয়া হয়েছিল তার ৪০ ভাগের মতো এপর্যন্ত ফেরত এসেছে। আমরা তো আগেই এটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করেছি। রিজার্ভের অর্থ বিভিন্ন সময়ে ফেরত এসেছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো পরিস্থিতি একই আছে, পাচারের কোনো অর্থ ফেরত আসেনি।
আর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ১২টি দেশে ৭১টি চিঠি ও মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে। এরমধ্যে ২৭টি এমএলএআর এর জবাব পেয়েছে সংস্থাটি। তবে সেই জবাব তথ্য সংক্রান্ত বলে জানা গেছে। পাচারের অর্থ ফেরত দেয়ার কোনো বিষয় সেইসব জবাবে নেই।
পাচারের অর্থ ফেরত আনা যাবে?
পাচারের অর্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স চুক্তি (এমএলএ) আছে। বাংলাদেশ অর্থপাচার-বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট এগমন্ট গ্রুপের সদস্য। এই দুইটির মাধ্যমে বাংলাদেশ মানিলন্ডারিং-এর তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। এর বাইরে এখন বাংলাদেশ নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে অর্থ পাচার মামলায় বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে। এছাড়া বিদেশে আইনজীবী বা লফার্ম নিয়োগ এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিরও চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবুল কাসেম বলেন, ‘পাচারের অর্থ ফেরত আনতে হলে প্রমাণ করতে হবে যে, বাংলাদেশ থেকে তিনি ওই টাকা অবৈধভাবে নিয়ে গেছেন। তাই বাংলাদেশের আদালতে সব আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হলে পাচারের বিষয়টি প্রমাণিত হতে হবে। ধরেন, ওই টাকা ইউকে-তে গেছে। তখন একটা লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে। তারা দেখবে বাংলাদেশের আদালতের রায় যথার্থ কী না। তখন তারা বিবেচনা করে দেখতে পারে। তবে একেক দেশের একেক নিয়ম। কোনো দেশ আবার বাংলাদেশের আদালতের রায়ের ডকুমেন্ট পাওয়ার পর তার ভিত্তিতে ওই দেশে মামলা করবে। তখন নির্ভর করবে সেই দেশের আদালত কী রায় দেয় তার ওপর।’
আবুল কাসেম বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লাগে। এখন অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কিসের ভিত্তিতে বলছেন তারাই জানেন। তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকতে পারে। এখন বিদেশে ল-ফার্ম নিয়োগ করবেন। সেই অর্থ কে দেবে। নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ব্যাংক বা অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই খরচ করে আমরা পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে পারব কী না তার কি নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে? আমার কথা হলো কাজটি কঠিন। কিন্তু অসম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ এপর্যন্ত মাত্র একবার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে পেরেছে। সিঙ্গাপুরের আদালতের নির্দেশে ২০১২ ও ২০১৩ সালে ফেয়ারহিল নামের একটি পরামর্শক সংস্থার নামে ব্যাংকে গচ্ছিত থাকা প্রায় এক মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের আদালতের নির্দেশনার পরও মামলাটি নিষ্পত্তি হতে সময় লেগেছে প্রায় তিন বছর। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির টাকা ধীরে ধীরে ফেরত আনা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করে। তবে রিজার্ভ চুরি ও অর্থপাচার এক নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ বিদেশে বিনিয়োগ হয়েছে৷ সেখানে বাড়ি ও স্থাপনাসহ সম্পদ কেনা হয়েছে। এখন সেটা যদি বিদেশে বৈধ উপায়ে করা হয়ে থাকে তাহলে ওই অর্থের বৈধতা বিদেশে তারা নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বিদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানে বিনিয়োগকারী হয়েছেন। কোনো কোনো দেশ আছে বিনিয়োগ বাড়ানোর স্বার্থে ওই পাচার হওয়া অর্থের বৈধতা দিয়েছে বা কোনো প্রশ্ন করেনি। ফলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা একটা জটিল প্রক্রিয়া। তবে সরকার যদি আন্তরিকভাবে চায় তাহলে সম্ভব।
বিষয়টি অসম্ভব না হলেও কঠিন
যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘টাকা এক দেশ থেকে আরেক দেশে ল্যান্ড করলে তখন দুই দেশের আইনের বিষয় হয়ে যায়। এখন বাংলাদেশ থেকে যে অর্থ অন্য দেশে পাচার হয়েছে সেটা ওই দেশের আইন কীভাবে দেখে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিট্যান্স-এর সুবিধা পেতে তো আমাদের অন্য দেশের আইন কানুন দেখতে হবে। এগমন্ট গ্রুপ প্রধানত পারস্পরিক তথ্য সহায়তা করে, তাও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে।’
‘এখন পাচার করা অর্থ কেউ আরেক দেশের আইন মেনে বিনিয়োগ করেছেন। তিনি সেখানে ট্যাক্স দিচ্ছেন। সেটা বের করে আনা কঠিন। এর জন্য ওই দেশেও আইনি লড়াই চালানো যায়। আমরা জানা মতে বাংলাদেশ একবারই সিঙ্গাপুর থেকে পাচারের অর্থ ফেরত আনতে পেরেছে। আর আফ্রিকার কিছু দেশও পেরেছে,’ বলেন তিনি।
গত সরকারের আমলে পিকে হালাদার যে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করেছেন সেটা প্রকাশ্য। তিনি ভারতে গ্রেফতারও হয়েছেন। গ্রেফতারের আগে তার বাংলাদেশে ফিরে এসে আদালতের মাধ্যমে ওই পাচার হওয়া অর্থ কোথায় কীভাবে আছে সে ব্যাপারে তথ্য দেয়ারও কথা ছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি। বিশ্লেষকরা বলছেন, তিনি ফিরে এসে তথ্য দিলে তার সঙ্গে জড়িত আরো অনেকের নাম প্রকাশ হতো, সেই কারণেই হয়তো তাকে শেষ পর্যন্ত আসতে দেয়া হয়নি বা তিনি আসেননি।
সাবেক ব্যাংক এবং বর্তমানে ব্যাংক ও অর্থ বিষয়ক আইনজীবী অ্যাডভোকেট দয়াল দত্ত বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। কিন্তু দুই দেশেরই আইনগত দিক আছে। পাচারের অর্থ আইনগতভাবে ট্র্যাক করার বিষয় আছে। ফলে এটা ফিরিয়ে আনা অত সহজ নয়।’
‘চূড়ান্ত আইনগত প্রক্রিয়া বাংলাদেশে শেষ হলেই যে অর্থ ফেরত আনা যাবে তা নয়। অর্থ যে দেশে গেছে, সেখানে কীভাবে আছে সেটা জানানোর পর তাদের দেশের আইন মতে সেটা তারা দেখবে। তারপর দুই দেশের মধ্যে আন্তরিকতা থাকলে বিবেচনায় আসবে,’ বলেন তিনি।
ফাঁদ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সঠিক পথেই আছে। অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নানা উদ্যোগের কথা বলছেন। আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে সক্রিয় ছিল না। এখন তো সেগুলো হচ্ছে। সরকার যে নতুন আইনের উদ্যোগ নিয়েছে সেটি ভালো উদ্যোগ। আমাদের প্রচলিত আইনে ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এক্সপার্ট নিয়োগের সুযোগ নই। নতুন আইনে সেই সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।’
‘তবে ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এক্সপার্ট নিয়োগের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, আমরা যেন আবার ফাঁদে পড়ে না যাই। কারণ যেসব ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এক্সপার্ট বা প্রতিষ্ঠান পাচারে সহায়তা করে, পাচারের অর্থ বৈধ করতে সহায়তা করে তারাই আবার পাচারের অর্থ উদ্ধারে কাজ করে। তাদের এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা। এই কারণেই আমাদের আইনি প্রক্রিয়া এবং ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এক্সপার্ট নিয়োগে সাবধান এবং সতর্ক থাকতে হবে,’ বলে মনে করেন তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের অর্থ যেসব দেশে পাচার হয়ে গেছে তা ওইসব দেশের সম্পদ হয়ে গেছে।৷ আগে যে লিগ্যাল ফার্ম বা ব্যক্তির কথা বললাম তারা এমনভাবে কাজ করে যে, আমাদের এখান থেকে অবৈধভাবে যাওয়া অর্থ তারা ওই দেশে বৈধ করে দেয়। ফলে আমাদের সেইভাবে লিগ্যাল এক্সপার্ট নিয়োগ করতে হবে, যারা এটা নিয়ে কাজ করতে দক্ষ ও সক্ষম। নয়তো ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।’
‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা অসম্ভব নয়। কঠিন হতে পারে। তারপরও অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর যেভাবে বলছেন এই বছরের মধ্যে বড় একটি অংশ জব্দ করা যায় তাহলে তা হবে খুব বড় একটি সাফল্য, বড় দৃষ্টান্ত। যদিও এরকম দৃষ্টান্ত খুবই কম’, বলে মন্তব্য করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: