ই-অরেঞ্জ প্রসঙ্গে মাশরাফির বক্তব্য
প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২১ ০৩:২০
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১২:৫১

অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের শুভেচ্ছা দূত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও জাতীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে মাশরাফির চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। প্রতিষ্ঠানটির মালিকের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। এর পর আদালতে জামিনের জন্য গেলে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মাশরাফি জানিয়েছেন, ই-অরেঞ্জের সঙ্গে চুক্তি শেষ হলেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর তিনি এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের মামলায় সহায়তা করেছেন।
ইঅরেঞ্জ ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা অনলাইন শপিং শপ যার বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেশ কিছু গ্রাহক তাদের টাকা নিয়ে সময়মত পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করে এবং তাদের একটি দল মাশরাফি বিন মর্তুজার মিরপুরের বাসার সামনেও অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমকে মাশরাফি বলেন, দোষারোপ করার আগে জানতে হবে আমি শেয়ার হোল্ডার কিনা। আপনি যখন মালিকানায় না থাকবেন, তখন কীই বা করতে পারবেন। আমি চেষ্টা করেছি ওনাদের সহযোগিতা করার, তবে তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি এক দেড় মাস আগে শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমার কাছে যখন অফার আসে তখন তাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে কি না সেটা দেখি। তারা যদি অনুমোদিত না হয় সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে কিন্তু অনুমোদিত হলে তো প্রশ্ন ওঠে না। আগে ২০-৩০টা কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছি, কিন্তু সমস্যা হয়নি। এখন কোনো এক কোম্পানির জন্য বিজ্ঞাপন করলাম, কিন্তু তাদের পানির ভেতর যদি পোকা পান। তাহলে এটার সমাধান কী?
সাবেক এ ক্রিকেটার বলেন, আমাকে ফোন দিয়েছিল, আমি বলেছি ঠিক আছে আমাদের কাছে আসেন। আমি যদি ১% ও মালিক হতাম সেক্ষেত্রে আমি দায় নিতে পারতাম, আমি যেহেতু শুভেচ্ছা দূত আমি এটা সমাধান করতে পারি না। তাও যতটুকু সম্ভব ছিল করেছি। মামলার জন্য সাহায্য করেছি আমি, খুব সম্ভবত গুলশান থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
মাশরাফি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: