বুধবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৫, ৩রা বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


খুচরা বাজারে আটা-ময়দা বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে


প্রকাশিত:
৩১ জুলাই ২০২২ ২৩:২০

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৫৫

 ছবি : সংগৃহীত

খাদ্যসামগ্রী গম রপ্তানিতে কৃষ্ণসাগর ব্যবহারে একমত হয়ে চুক্তি করেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। ফলে রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে গম আমদানিতে এতদিনের বাধা উঠে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও গমের দাম কমেছে। এর প্রভাবে দেশের পাইকারি বাজারেও কমেছে আটা ও ময়দার দাম। কিন্তু কমছে না দেশের খুচরা বাজারে। এখনও প্রতি কেজি আটা এবং ময়দা বিক্রি হচ্ছে বাড়তি আগের দামে। কবে নাগাদ দেশের বাজারে আটা-ময়দার দাম কমবে তা কেউ জানেন না । ব্যবসায়ীদের অভিমত, আন্তর্জাতিক বাজারের এই সুফল পেতে আরও কিছু সময় প্রয়োজন। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমা গম এখনও দেশে এসে পৌঁছায়নি।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারের হালনাগাদ তথ্যে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। দেশের পাইকারি বাজারেও আটার দাম কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। বিশ্ববাজারে শুক্রবার (২৯ জুলাই) প্রতি টন গম বিক্রি হয়েছে ৩৪২ ডলারে। যা গত মে মাসে বেড়ে উঠেছিল ৪৩৮ ডলারে। ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে গমের দাম কমেছে ৩ থেকে ৪ শতাংশ। দেশের পাইকারি পর্যায়ে কমেছে আটা-ময়দার দামও। বাজারে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আটার দাম ২ হাজার ১ শ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১ হাজার ৭ শ টাকা। বস্তাপ্রতি ময়দার দামও কমেছে প্রায় ২০০ টাকা। এর কোনও প্রভাব নেই দেশের খুচরা বাজারে।

অপরদিকে যুদ্ধচলাকালীন খাদ্যশস্য রফতানির জন্য কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো খুলে দিতে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি চুক্তি সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এক বার্তায় জানিয়েছে ,গত ২২ জুলাই চুক্তিটি সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এর ফলে খাদ্যশস্য নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কেটে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিক্রেতারা বলছেন,খাদ্যশস্য রফতানিতে রাশিয়া ও ইউক্রেন চুক্তি সইয়ের পর দেশের বাজারেও গম ও আটা-ময়দার দাম আর বাড়েনি। খুচরা পর্যায়েও দ্রুত দাম কমতে শুরু করবে। এদিকে টিসিবি’র হিসাব বলছে, এক বছরে আটা-ময়দার দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৫৬ ভাগ।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে যে গম দিয়ে এখন আটা-ময়দা করা হচ্ছে সেগুলো আগের কেনা। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ার কারণে বিপদে আছেন ব্যবসায়ীরা। এর উপর পরিবহন খরচও কমেনি। যা একটি বড় কারণ বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। ভারত থেকে গম আসছে না। গম আনতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে। এ দুটি দেশ থেকে গম আসতে বেশ সময়ের প্রয়োজন। এছাড়া কৃষ্ণ সাগরের গমের কোনও শিপমেন্ট এখনও এসে পৌঁছায়নি।

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গমের আমদানি কমেছে অনেক। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে মাত্র ৪০ লাখ টন গম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে গম আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার টন। ২০১৯-২০ অর্থবছর গম আমদানি হয়েছিল ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টন।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত ২০ জুলাই পর্যন্ত সরকারের গুদামে গম মজুতের পরিমাণ এক লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন। বিশ্বে গম আমদানিকারক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।

 


সম্পর্কিত বিষয়:

রাশিয়া এবং ইউক্রেন

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top