রনির অবস্থা স্থিতিশীল
প্রকাশিত:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৩৬
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০৬:২৬

গাজীপুরে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত না হলেও কিছুটা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, আবু হেনা রনি বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন। তার শ্বাসনালিসহ শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তবে এখনো রনিকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পর তার বিষয়ে অগ্রগতি জানানো সম্ভব হবে।
এদিকে আবু হেনা রনিকে দেখতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আসেন কৌতুক অভিনেতা মাসুদ আহমেদ। তিনি জানান, রনি দেশের গর্ব। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। গতকাল রাত থেকেই আমরা তার পাশে আছি। তিনি আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছেন। কথা বলতে পারছেন। চিকিৎসকরা ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ও নাগরিক সম্মেলনে আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। দগ্ধ অন্যরা হলেন, মোশাররফ হোসেন, জিল্লুর রহমান, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিদের উদ্বোধনী মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রধান অতিথির হাতে বেশ কিছু বেলুন দেওয়া হয় উড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বারবার চেষ্টা করলেও বেলুনগুলো উড়ছিল না। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সে বেলুন মঞ্চের পেছনে নিয়ে যান। শুধু পায়রা উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রামন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে চলে যান।
অতিথিরা মূল মঞ্চে চলে যাওয়ার কিছু সময় পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুন বিক্রেতাকে বকাঝকা করেন। এতে বেলুন বিক্রেতা নিজেই বেলুনে আগুন লাগিয়ে ওড়ানোর চেষ্টার করেন। এসময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশে বসে থাকা কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন।
এদিকে ওই ঘটনা তদন্তে জিএমপির ডিসি (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।
কমিটিতে জিএমপির এডিসি (উত্তর) রেজনোয়ান আহমেদ, এসি (প্রসিকিউশন) ফাহিম আশজাদ ও মেট্রো সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
অভিনেতা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: