বুধবার, ১২ই মার্চ ২০২৫, ২৮শে ফাল্গুন ১৪৩১


যে ডায়েটে ৪৬ কেজি ওজন কমালেন সারা


প্রকাশিত:
১৩ জুন ২০২১ ২২:২৫

আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ১৭:০০

সারা আলী খান। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের তরুণ নায়িকাদের মধ্যে সারা আলী খান বেশ আলোচিত। নতুন প্রজন্মের কাছে ফ্যাশন আইকন হিসেবে সমাদৃত তিনি।

বলিউডে পা রাখার আগে প্রায় ১০০ কেজি ওজন হওয়ার পথে ছিলেন এ তারকা। অবিশ্বাস্য হলেও বর্তমানে সেই পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার সারার ওজন মাত্র ৫০ কেজি। এই অবিশ্বাস্য পরিবর্তনের গল্প শুনিয়েছেন সারা নিজেই।

সারার ‘কেদারনাথ’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কিছু দিন আগে ভারতীয় এক দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নায়িকা বলেন, ‘আমার দেড় বছর লেগেছে। এই দেড় বছরে আমি ৩০ কেজি ওজন কমিয়েছি। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দুই বছর পর টের পেলাম, আমার রেজাল্ট খুবই ভালো এসেছে; কিন্তু ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬! অথচ আমি সবসময়ই বলিউড তারকা হতে চেয়েছিলাম। তৃতীয় বর্ষে টেনশনেই ছয় কেজি ওজন কমে যায়। আর চতুর্থ বর্ষ থেকে আমি কড়া ডায়েট মেনে চলতে শুরু করি। আমি জানতাম, যাই হোক না কেন, আমি ফিট হবই’।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন সারা। পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরলে তার মা অমৃতি সিং এয়ারপোর্টে তাকে দেখে নাকি চিনতেই পারেননি। বিবিসি এশিয়া নেটওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ঘটনা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। এয়ারপোর্টে মা আমাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। তখন আমার স্যুটকেস দেখে চিনেছে। ভেবেছে, আমার স্যুটকেস অন্যের হাতে কেন! পরে ভালো করে তাকিয়ে দেখে সেটি আমি নিজেই। এটি দেখে মা অবাক হয়ে গেছে’।

সারার বাবা সাইফ আলী খানের সঙ্গে ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে এসে জানান, তিনি ‘পিসিওডি’ (পলিসিসটিক ওভারি সিনড্রোম) রোগে আক্রান্ত। এর কারণে তার শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বেশি। তাই তার মোটা হওয়ার প্রবণতাও বেশি।

সারার স্বাস্থ্য বেশি থাকার সময়ের গল্পগুলো তার ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু অন্য সব সাধারণ বাচ্চাদের মতোই! ছোটবেলা থেকেই চকলেট আর পিৎজা খুব ভালোবাসতাম। বড় হয়েও সেটা কমেনি। আর বিদেশে পড়তে গিয়ে তো প্রথম তিন বছর চকলেট আর পিৎজা খেয়েই বেঁচে ছিলাম। সব চকলেট আর পিৎজা নানাভাবে শরীরে জমে গিয়েছিল। শরীর প্রায় ১০০ কেজি ওজন হওয়ার পথে ছিল’।

সারা জানান, তিনি অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন যে ‘হাবিজাবি’ খাবার খাওয়া তিনি ছেড়ে দেবেন। একদিন মনস্থির করে ছেড়েও দেন পিৎজা, পাস্তা বা চকলেটজাতীয় খাবার। এর পরে একজন পুষ্টিবিদের অধীনে থেকে ব্যায়ামের প্রশিক্ষক নিয়ে শুরু করেন তার বলিউড যাত্রার প্রস্তুতি।

এ ঘটনা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘আমার জন্য খুব কঠিন ছিল যাত্রাটি। একে তো খাবারগুলোকে না বলা, তার ওপর হরমোন নিয়ন্ত্রণ করা। সব ভাজাপোড়া খাবার বাদ দিয়ে যা জীবনেও চোখে দেখিনি, সেগুলো ভালোবাসা শুরু করলাম। চকলেটের বদলে সালাদ খেতাম। প্রতিদিন দুই বেলা চার ঘণ্টা করে ওয়ার্কআউট করতাম। আমার প্রতিটি মিনিট ছিল ছকে বাধা’।

এখন বলিউড তারকা সেই সারাকে দেখে অনেকেই ফিটনেস আইকনও বলে থাকেন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top