পাহাড়ে যেতে অ্যাজমা রোগীকে যেসব সতর্কতা মানতে হবে
প্রকাশিত:
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:৫৯
আপডেট:
৯ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৩৯

অ্যাজমা রোগীদের ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে থাকতে হয় বাড়তি সতর্ক। আর যদি ঘুরতে যেতে চান ঠান্ডা আবহাওয়ায় তবে তা চিন্তার বড় কারণ। এমন আবহাওয়া অ্যাজমা রোগীদের জন্য জটিলতা ডেকে আনতে পারে। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, তাদের আদৌ পাহাড়ে যাওয়া কি ঠিক হবে।
এ প্রসঙ্গে কলকাতার একটি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেন, অ্যাজমা হলো একটি অ্যালার্জিজনিত সমস্যা। এই রোগ থাকলে অ্যালার্জির কারণে ফুসফুসের ছোটছোট শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয়। তাই শ্বাস নেওয়া যায় না। আক্রান্তদের ঘুরতে যাওয়ার আগে সচেতন হতে হবে।
অ্যাজমার কী কী লক্ষণ থাকে?
১. প্রচন্ড কাশি হতে পারে
২. প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়
৩. বুকে কফ জমে যেতে পারে
৪. সাঁই সাঁই করে আওয়াজ হয়
৪. নাক দিয়ে পানি পড়তে পারে
৫. গলায় ব্যথা হতে পারে ইত্যাদি।
অ্যাজমা থাকলেও পাহাড়ে যাওয়া যাবে?
পাহাড়ে যাওয়ার আগে নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বুঝে নিতে হবে। ফুসফুস ঠিকমতো কাজ না করলে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে। তাই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করার আগে বাড়িতে পিক ফ্লো যন্ত্রে ফুঁ দিয়ে দেখুন কতটা কাজ করছে ফুসফুস। তারপর সিদ্ধান্ত নিন। পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা ভালো।
চিকিৎসক দেখানো জরুরি
অ্যাজমা একদম ছোট বয়সেই বেশি হয়। এক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, রোগীদের প্রতি বছর অন্তত একবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। তিনিই ফুসফুসের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে বলবেন। এমনকি ঘুরতে যাওয়ার আগেও সেই কাজটা করা দরকার। এক্ষেত্রে পিএফটি টেস্ট করতে হতে পারে। পাশাপাশি চিকিৎসক রোগীর বুকের শব্দও শোনেন। এতেই আন্দাজ করা যায় ফুসফুসের অবস্থা।
পাহাড়ে গেলে মেডিকেল কিটে কী থাকবে?
১. প্রিভেনটিভ ইনহেলার সঙ্গে নিন
২. সমস্যা হলে রিলিভার ইনহেলার নিতে হয়
৩. অ্যান্টিবায়োটিক সঙ্গে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো
৪. খুব খারাপ অ্যাজমা হলে নেবুলাইজার সঙ্গে নেওয়া উচিত
পাহাড়ে গেলে কী সমস্যা হতে পারে?
রোগীর অ্যাজমা অ্যাটাক আসতে পারে। ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে ফুসফুস মানিয়ে নিতে না পারলেই জটিলতা দেখা যায়। এক্ষেত্রে খুব কাশি, বুকে কফ জমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। তাই যাওয়ার আগে সার্বিক পরিস্থিতি চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: