মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১


কাঁঠাল খাবেন যে কারণে


প্রকাশিত:
২ জুন ২০২৪ ১৫:৩৩

আপডেট:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৩৯

ছবি- সংগৃহীত

গ্রীষ্মকালের ফলগুলোর মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। স্বাদের দিক থেকে আমের পরেই আসে কাঁঠালের নাম। সুগন্ধযুক্ত এই ফল পুষ্টির দিক থেকেও অনন্য। কাঁঠাল খাওয়ার রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। কেউ কেউ কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন না। তবে এর গুণ জানা থাকলে নিয়মিত খাবেন নিশ্চয়ই। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, কাঁঠাল প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস। এটি ভিটামিন এ, সি এবং বি-কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ, যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন কাঁঠাল খাওয়া উপকারী-

১. হজমে সহায়তা করে

ফাইবার হজমের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং নিয়মিত অন্ত্রের চলাচল বজায় রাখে। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে যা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে। কাঁঠালের মধ্যে প্রিবায়োটিকও রয়েছে, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাবার হিসেবে কাজ করে। স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম সামগ্রিক হজম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাধি প্রতিরোধ করতে সহায়ক।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কাঁঠালের উচ্চ ভিটামিন সি উপাদান এটিকে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি চমৎকার উপায় করে তোলে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেসের গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দূর করে সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কাঁঠাল খেলে তা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

৩. হার্ট ভালো রাখে

কাঁঠাল পটাসিয়ামের একটি ভালো উৎস। পটাসিয়াম হলো একটি খনিজ যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়ামের প্রভাবের ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এভাবে উচ্চ রক্তচাপ এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। কাঁঠালে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যারোটিনয়েড, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমিয়ে হার্টকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৪. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

ইনফরমেটিক্স জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, মিষ্টি স্বাদ থাকা সত্ত্বেও কাঁঠালের কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে, যার অর্থ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে না। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বা যারা তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন তাদের জন্যও উপকারী।

৫. ত্বক ভালো রাখে

কাঁঠালের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ভিটামিন সি, ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এমন ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি অকাল বার্ধক্য রোধ করতে, বলিরেখা কমাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁঠালের মধ্যে প্রচুর পানি রয়েছে, যা আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড এবং কোমল রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক বজায় রাখার জন্য সঠিক হাইড্রেশন অপরিহার্য।

৬. হাড় ভালো রাখে

ইউএসডিএ অনুসারে, কাঁঠালের মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে, যা শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যকর হাড় বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কাঁঠাল খেলে তা অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়-সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। অস্টিওপোরোসিস ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় পাওয়া গেছে, কাঁঠালে পটাসিয়ামের উপস্থিতি ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, হাড়ের স্বাস্থ্যের আরও উন্নতি করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top