'করোনাভাইরাস ছড়াতে পারেন টিকা গ্রহণকারীরাও'
প্রকাশিত:
২৫ জানুয়ারী ২০২১ ১৬:২৯
আপডেট:
২৬ জানুয়ারী ২০২১ ০২:৩০

কভিড-১৯-এর টিকা গ্রহণকারীরাও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারেন। তাই অন্যদের মতোই তাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যুক্তরাজ্যের একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো টিকাই শতভাগ কার্যকর হয়নি। কাজেই সুরক্ষারও কোনো গ্যারান্টি নেই।
ইংল্যান্ডের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা অধ্যাপক জনাথন ভন-টাম এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সানডে টেলিগ্রাফে তিনি লিখেছেন, রোগটি ছড়ানোর ওপর টিকার প্রভাব কতটা, তা এখনও বিজ্ঞানীরা জানেন না।
জনাথন বলেন, টিকা নেওয়ার দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ঘটতে পারে। প্রবীণদের মধ্যে টিকায় প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে অন্তত তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। অধ্যাপক জনাথন বলেন, 'এমনকি করোনার টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরও আপনি ভাইরাসটি ছড়াতে পারেন এবং এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। আপনি যদি অভ্যাসের পরিবর্তন করেন (স্বাস্থ্যবিধি না মানেন) তাহলে ভাইরাসটি ছড়াতে পারেন এবং অন্যকেও ঝুঁকিতে ফেলতে পারেন।'
টিকায় কমেছে প্রবীণদের সংক্রমণ: ইসরায়েলে টিকা নেওয়ার পর ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ প্রায় ৬০ শতাংশ কমেছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, টিকার মাধ্যমে সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে। ইসরায়েলে ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৯ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে টিকা গ্রহণকারীদের তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় ষাটোর্ধ্ব ৫০ হাজারের বেশি টিকা গ্রহণকারীর তথ্য যাচাই করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, এই বয়সীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ৬০ শতাংশ কমেছে। ইসরায়েলে ইতোমধ্যেই ৩০ শতাংশের বেশি লোককে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বে করোনার টিকাদানের সবার ওপরে আছে ইহুদিবাদী দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত আড়াই কোটি ছাড়াল: যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা আড়াই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। সরকারি এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতি ১৩ জনের মধ্যে একজন বা জনসংখ্যার ৭ দশমিক ৬ শতাংশ করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত।
করোনাভাইরাসজনিত মৃত্যুর সংখ্যাও অপ্রতিহত গতিতে বাড়ছে, ইতোমধ্যেই তা সোয়া চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির প্রায় প্রতি ৮০০ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
সূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইল ও সিএনএন।
সম্পর্কিত বিষয়:
করোনাভাইরাস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: