জ্বর কমবে ঘরোয়া উপায়ে
প্রকাশিত:
২০ অক্টোবর ২০২১ ০০:৪২
আপডেট:
২০ অক্টোবর ২০২১ ০১:৪১

জ্বর খুব কমন একটা রোগ। এটা যখন তখন যেকোন কারণেই হয়ে থাকে। আর এখানেই আমরা করে ফেলি মারাত্মক একটা ভুল। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলেই হুটহাট চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেয়ে ফেলি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে আমাদের শরীর একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত জ্বর নিজেই প্রতিরোধ করতে পারে।
জ্বর কমিয়ে বাইরে বের হওয়া খুব জরুরি হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।
জ্বর যদি অতিরিক্ত মাত্রায় না হয় বা বেশিও হয় তা দ্রুত কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনার জন্য ঘরোয়া এই উপায়গুলো মেনে চলতে পারেন-
১. জ্বর হলে শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমানোর অন্যতম কার্যকরী পদ্ধতি হলো জলপট্টি দেওয়া। কয়েকবার জলপট্টি করলে শরীরের তাপমাত্রা খুব সহজেই অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
২. তুলসি পাতার ব্যবহারে খুব সহজেই জ্বর কমানো যায়। তুলসি পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রংকাইটিস, ম্যালেরিয়ার মতো অনেক রোগের উপশমে সাহায্য করে। এই পাতা শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
৩. ভাইরাস জনিত জ্বরের ক্ষেত্রে লেবুর রস ও মধু দারুণ কাজ করে। মধুতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা শরীরের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। এর ফলে ভাইরাসজনিত জ্বর খুব সহজেই কমে যায়।
৪. এছাড়াও এক চা চামচ লেবুর রস, আধা চা চামচ আদার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে সেটিও দিনে তিন-চারবার খেতে পারেন। এতে জ্বর কমতে থাকবে। কারণ আদা হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টি ভাইরাস। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৫. জ্বর কমাতে রসুন গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করে। এককোয়া রসুন ও এককাপ গরম পানি নিন। রসুন কুচি করে নিয়ে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর রসুনের কুচিগুলো ছেঁকে নিয়ে পানিটুকু চায়ের মতো খেয়ে নিন। এভাবে দিনে দুইবার খেতে হবে।
এছাড়াও রসুন ছেঁচে নিয়ে তার সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণটি পায়ের তালুতে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর পাতলা কোনো কাপড়ে পা পেঁচিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে উঠে দেখবেন জ্বর একেবারে সেরে গেছে। তবে গর্ভবতী বা শিশুর ক্ষেত্রে এটি করা যাবে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: