রাজউক কর্মকর্তা মিজানুরের সম্পত্তি ক্রোক, অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ
প্রকাশিত:
১১ জানুয়ারী ২০২১ ০২:০৩
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০৬:২৯

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় রাজউকের অথরাইজড কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের এক কোটি আট লাখ টাকার সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আদালতের আদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তার পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, মিজানুর রহমানের যেসব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তুরাগ থানার নলভোগে ‘এফএনএফ ড্রিমস’নামের ১০ তলা ভবনে ১৬৪৯ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও ০০৫৩ অযুতাংশ জায়গা। যার মূল্য ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া নওগাঁ সদরে ১৬ লাখ টাকা মূল্যের ৯৫৭ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। এর বাইরেও নওগাঁ সদরের একরতারা মৌজায় ২৮ লাখ টাকা মূল্যের ৬৪৭৫ সহস্রাংশ জমি, একই মৌজায় ২০ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ৪২০০সহস্রাংশ জমি। এছাড়াও ক্রোক করা হয়েছে নওগাঁ সদরের একরতারা মৌজার আরও দুটি জমি ক্রোক করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। যার মধ্যে নয় লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ২৭৩৭ সহস্রাংশ ও তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যে এক হাজার সহস্রাংশ জমি ক্রোক করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এসব সম্পদ নিজের পাশাপাশি স্ত্রী ও সন্তানদের নামেও করেছিলেন রাজউক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
অন্যদিকে মিজানুর রহমানের দুই ব্যাংকের পাঁচটি অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করা হয়েছে। স্যোসাল ইসলামি ব্যাংকের গুলশান ব্রাঞ্চের চারটি এবং সিটি ব্যাংকের বনানী ব্রাঞ্চের একটি অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করা হয়েছে। যাতে মোট টাকার পরিমাণ ১৯ লাখ ৮১ হাজার ৬২৭ টাকা ৪২ পয়সা।
দুদকের এক শুনানিতে এই মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে উত্তরায় ১২০ কাঠা জমিতে রূপায়ন হাউজিংকে পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল।
এছাড়াও ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অথরাইজড কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী তামান্না মীমের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দিয়েছিল দুদক।
সম্পর্কিত বিষয়:
রাজউক
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: