পুশব্যাকের শিকার, এজিয়ান সাগরে মৃত্যু ৬ অভিবাসীর
প্রকাশিত:
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:৩৭
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১০:২০

গ্রিক কোস্ট গার্ড তুরস্কের আঞ্চলিক জলসীমায় অভিবাসীদের একটি দলকে পুশব্যাকের ফলে পাঁচ শিশুসহ ছয় অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। পুশব্যাকের শিকার হওয়াদের মধ্যে ৭৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ পাঁচ অভিবাসীর সন্ধানে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।
এজিয়ান সাগরে মঙ্গলবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর) ছয় অভিবাসীর প্রাণহীন মরদেহ পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে পাঁচ শিশু ও একজন নারী রয়েছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মৃতদের সবাই গ্রিক কোস্টগার্ডের হাতে পুশব্যাক হওয়া ৮০ অভিবাসীর একটি দলের অংশ ছিল।
বেঁচে যাওয়া অভিবাসীদের একজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তুর্কি কোস্ট গার্ডের একজন সদস্য জানান, গ্রিক উপকূলরক্ষীরা অভিবাসীদের বোটে তুলে তাদের সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের চারটি নৌকায় বসিয়ে তুর্কি আঞ্চলিক জলসীমার কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই অভিবাসী দলটি মূলত ইতালি পৌঁছানোর চেষ্টায় গত শনিবার লেবাননের উপকূলীয় শহর ত্রিপোলি থেকে যাত্রা করেছিল বলে জানা গেছে।
গত সোমবার, তারা গ্রিক দ্বীপ রোডসের কাছে এসে জ্বালানি ঘাটতিতে পড়লে গ্রিক উপকূলরক্ষীদের কাছে সাহায্যের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। আঙ্কারার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মূলত এই অঞ্চলে আসার পরেই অভিবাসীদের জোর করে তুরস্কের জলসীমায় পুশব্যাক করা হয়েছিল।
আঙ্কারার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চারটি পৃথক নৌকায় আসা মোট ৭৩ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মারমারিস শহরের অদূরে মুগলা উপকূল থেকে অভিবাসী নৌকাগুলো উপকূলে নিয়ে আসা হয়।
জীবিতদের সাক্ষ্য অনুযায়ী এখনও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের মধ্যেও দুটি শিশু রয়েছে। তুর্কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিখোঁজদের অনুসন্ধানে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত। সীমান্তে অভিবাসী ইস্যুতে এথেন্স ও আঙ্কারার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে।
উভয় দেশ একে অপরকে তাদের নিজ নিজ সীমান্তে অভিবাসীদের পুশব্যাক ও আশ্রয় অধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে আসছে।
এথেন্সে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২৩ আগস্ট গ্রিসের আশ্রয় ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী নোতিস মিতারাচি স্পষ্ট করে জানান, গ্রিস তুরস্ককে একটি নিরাপদ তৃতীয় দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীরা চাইলে সেখানে আশ্রয় আবেদন করতে পারে। গ্রিস কোনো অনিয়মিত অভিবাসীকে গ্রহণ করবে না।
দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক ও স্থল সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বেআইনি পুশব্যাকের ঘটনা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসংখ্য বেআইনি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে এনজিও বা ইউরোপীয় গণমাধ্যমগুলো বিশেষ করে ইনফোমাইগ্রেন্টসের কাছে অসংখ্য অভিবাসী সীমান্তে পুশব্যাকের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
সম্পর্কিত বিষয়:
তুরস্ক
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: