বিধ্বস্ত সিউলের ক্ষেপণাস্ত্র, আতঙ্ক দক্ষিণ কোরিয়ায়
প্রকাশিত:
৬ অক্টোবর ২০২২ ০২:৪৯
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০৫:৫৭

উৎক্ষেপণের পরই বিধ্বস্ত সিউলের ক্ষেপণাস্ত্র, দক্ষিণ কোরিয়ায় আতঙ্ক
উৎক্ষেপণের পর আকাশেই বিধ্বস্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র। এমনকি বিধ্বস্ত ওই ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ মাটিতে আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি শহরে বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এতে করে সেখানে দেখা দেয় আতঙ্ক।
মূলত উত্তর কোরিয়া থেকে ক্রমকর্ধমান হুমকির মধ্যেই এই ঘটনা ঘটায় তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আরও বেশি। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া। এটি ছিল মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইআরবিএম)। এর প্রতিক্রিয়ায় নিরাপত্তা মিত্র সিউল ও ওয়াশিংটন নকল লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণসহ একাধিক যৌথ মহড়া করেছে।
এএফপি বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে হিউনমো-২ নামে স্বল্প-পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। কিন্তু উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরই এটিতে ত্রুটি দেখা দেয় এবং একপর্যায়ে সেটি বিধ্বস্ত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপকে জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের পরপরই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রপেলান্টে আগুন লেগে যায়। তবে এরপরও ক্ষেপণাস্ত্রটির ওয়ারহেড বিস্ফোরিত হয়নি।
এদিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি বিধ্বস্ত ও মাটিতে আছড়ে পড়ার পর সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল এই ভিডিওতে দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের গ্যাংনিউং শহরের একটি বিমান বাহিনীর ঘাঁটির কাছে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এই ফুটেজের সত্যতা অবশ্য এএফপি যাচাই করতে পারেনি।
গ্যাংনিউং সিটি হলের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ‘এই ঘটনার পর আতঙ্কিত ও উন্মত্ত অনেক বাসিন্দা সিটি হলে ফোন কল করেন।’
১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত কোরিয়ান যুদ্ধ চললেও শান্তি চুক্তির পরিবর্তে একটি যুদ্ধবিরতিতে সেটি সাময়িকভাবে শেষ হয়। এরপর থেকে দক্ষিণ এবং উত্তর কোরিয়া কার্যত নিজেদের মধ্যে প্রযুক্তিগতভাবে যুদ্ধ করছে। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সরাসরি সশস্ত্র সংঘর্ষ বিরল হলেও মঙ্গলবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বস্তের ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার এই শান্ত শহরের কিছু বাসিন্দা বিশ্বাস করে যে, যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যেকে দু’টি করে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্রই নকল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
দক্ষিণ কোরিয়া
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: