বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


গৃহযুদ্ধের পর সিরিয়ায় প্রথম সফরে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২৩ ২৩:৩৫

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০২:২০

 ফাইল ছবি

সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইরাকের কোনও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই প্রথম দেশটি সফরে করছেন মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি।

সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইরাকের কোনও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই প্রথম দেশটি সফর করছেন মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। সিরিয়ার সাথে সীমান্ত নিরাপত্তা ও দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে রোববার সিরিয়া সফর শুরু করেছেন ইরাকের এই প্রধানমন্ত্রী।

আঞ্চলিক শক্তিধর ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক, সামরিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ইরাক ও সিরিয়ার। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় অন্যান্য আরব রাষ্ট্র দামেস্ক থেকে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার ও সিরিয়ায় তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল তারা।

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাথে লড়াইয়ে ইরান-সমর্থিত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করেছিল বাগদাদ ও দামেস্ক। পরে তাদের এই সংঘাত ইরাক থেকে সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সংঘাতের এক পর্যায়ে উভয় দেশের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ফরহাদ আলালদিন বলেছেন, মাদকের চারাচালান, বিশেষ করে অ্যামফিটামিন ক্যাপ্টাগনের চোরাচালান বন্ধ ও ৬০০ কিলোমিটার আন্তঃসীমান্ত এলাকায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন উভয় দেশের নেতারা।

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং ভূমধ্যসাগরে তেল রপ্তানির একটি পাইপলাইন পুনরায় চালু করার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করবেন; যা ইরাককে তার রপ্তানিপথ বৈচিত্র্যময় করে তুলতে সহায়তা করতে পারে।

কয়েক বছরের উত্তেজনার পর সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলোর দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের মাঝে সিরিয়া সফর করছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি।

বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের নৃশংস দমন-পীড়ন ঘিরে ২০১১ সালে আরব রাষ্ট্রগুলোর জোট আরব লীগ থেকে সিরিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ওই সময় কয়েকটি উপসাগরীয় রাষ্ট্র সরাসরি আসাদবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন জানায়।

কিন্তু রাশিয়া এবং ইরানের অব্যাহত সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তায় সিরিয়ার বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। গত মে মাসে সিরিয়াকে পুনরায় আরব লীগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এখন ওই অঞ্চলের দেশগুলো মাদক চোরাচালান বন্ধ ও লাখ লাখ শরণার্থীকে সিরিয়ায় ফিরিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করছে।

ইতোমধ্যে জর্ডান ও ইরাকের সাথে দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত দিয়ে মাদকপাচার বন্ধে সহায়তা করার বিষয়ে রাজি হয়েছে সিরিয়া। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মাদক বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সিরিয়ার বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও আসাদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top