মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


জিম্মিদের বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির অনুমোদন দিলো ইসরায়েল


প্রকাশিত:
২২ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৪০

আপডেট:
২২ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৫২

ছবি-সংগৃহীত

৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে গাজা উপত্যকায় চার দিন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস, তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সরকার।

হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেখানে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টির উল্লেখ ছিল। তবে বিবৃতিতে সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় ৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি উত্থাপন করার পর সভার অধিকাংশ সদস্যই সেটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

তেমনি কখন থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হবে এবং জিম্মিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া কোন স্থানে ঘটবে— সে ব্যাপারেও কিছু বলা হয়নি বিবৃতিতে। তবে ইসরায়েলের সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, যে ৫০ জন জিম্মির মুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে— তাদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।

হামাসের এই হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে সেই অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার। আর গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। যুদ্ধের শুরুর দিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছিল, তাদের জিম্মায় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি রয়েছে। তবে পরে হামাস ঘোষণা করে, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার কারণে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন জিম্মি।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে। প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে তা হবে এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট।

সূত্র : সিএনএন, দ্য ন্যাশনাল


সম্পর্কিত বিষয়:

#জাতিসংঘ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top