গাজার জাবালিয়া-জায়তুনে হামাস-ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র সংঘাত
প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:২৮
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ২১:৪২

ফিলিস্তিনের ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজা উপত্যকার উত্তরাংশে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং জায়তুনে উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র সংঘাতের সংবাদ পাওয়া গেছে।
হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড গত শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে প্রায় ‘শূন্য দূরত্বে’ লড়াই চলছে হামাস যোদ্ধা এবং ইসরায়েলি স্থল বাহিনীর সেনাদের মধ্যে। প্রায় একই পরিস্থিতি জায়তুন এলাকাতেও।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি স্থলসেনাদের সঙ্গে সংঘাত চলছে হামাস যোদ্ধাদের। ইসরায়েলি বিমান বাহিনী একাধিকবার এই শিবিরে গোলা বর্ষণও করেছে।
পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে একটি ভবন হামাসের যোদ্ধারা দখল করে নিয়েছে। ভবনটি দখলমুক্ত করতেই সেখানে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।
‘ইসরায়েলি সেনারা কেবল নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে। সাধারণ বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে না,’ বিবৃতিতে বলেছে আইডিএফ।
বিবৃতিতে এ সম্পর্কে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে,‘হামাস ওই এলাকার কিছু অংশে অ্যামবুশ কেন্দ্র তৈরি তৈরি করেছে। ইসরায়েলি সেনারা সেইসব কেন্দ্র ধ্বংসের চেষ্টা করছে।’
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওচিত্রও রোববার প্রকাশ করেছে আইডিএফ। সেই ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সেনারা জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে চতুর্দিক থেকে গোলা ছুড়ছে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি।
অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।
সম্পর্কিত বিষয়:
ইসরায়েলি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: