বুধবার, ২রা এপ্রিল ২০২৫, ১৮ই চৈত্র ১৪৩১

Shomoy News

Sopno


রেমডেসিভির মৃত্যুঝুঁকি ব্যাপকভাবে কমাতে পারে: গিলিয়েড


প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর ২০২০ ১৮:০০

আপডেট:
৯ অক্টোবর ২০২০ ১৮:৩০

ফাইল ছবি

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির নিয়ে সুখবর জানাল তার প্রস্তুতকারক যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়েড সায়েন্সেস ইনকরপোরেশন। রেমডেসিভির পরীক্ষার চূড়ান্ত তথ্য অনুযায়ী, অন্য ওষুধের তুলনায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারে সেরে ওঠার সময় পাঁচ দিন কমাতে পারে। এ ছাড়া রেমডেসিভির অক্সিজেন পাওয়া রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি ব্যাপকভাবে কমাতে পারে। গবেষক ও গিলিয়েড কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, অক্সিজেন পাওয়া কোনো রোগীকে যখন ওষুধটি দেওয়া হয়, তখন তার সেরে ওঠার সময় সাত দিন পর্যন্ত কমে যায়। গবেষকেরা ১ হাজার ৬২ জন মানুষের ওপর এই গবেষণা চালিয়েছেন। রেমডেসিভির ভেকলারি ব্র্যান্ডের অধীনে বিক্রি করছে গিলিয়েড।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ সাময়িকীতে।

চূড়ান্ত গবেষণায় ২৯ দিনের চিকিৎসা প্রক্রিয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এর সঙ্গে গত মে মাসে করা আরেকটি গবেষণার তথ্যের তুলনা করা হয়। ওই সময় রোগীদের ১৫ দিনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছিল।

গিলিয়েডের ওষুধটি করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রথম কোনো ওষুধ। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা চিকিৎসায়ও ওষুধটি ব্যবহার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জরুরি ব্যবহারের জন্য গত ১ মে রেমডেসিভির ওষুধটির অনুমোদন দেয়। এরপর বেশ কয়েকটি দেশে রেমডেসিভির অনুমোদন পেয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, রেমডেসিভির ওষুধটি মৃত্যুহার কমাতে পারে। কিন্তু তার সুবিধা পরিসংখ্যানগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়।

পৃথক আরেকটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অক্সিজেন পাওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ১৫ দিনের চিকিৎসায় রেমডেসিভির রোগীর মৃত্যুঝুঁকি ৭২ শতাংশ কমায়। আর ২৯ দিনের চিকিৎসায় মৃত্যুঝুঁকি ৭০ শতাংশ কমে।

ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ আন্দ্রে কালির বলেন, বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তাঁদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে দেখা গেছে, অন্য ওষুধের তুলনায় রেমডেসিভির অক্সিজেন পাওয়া রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি ব্যাপকভাবে কমাতে পারে।

গত জুলাই মাসে রোগীদের চিকিৎসার জন্য শর্ত সাপেক্ষে ভাইরাসপ্রতিরোধী ওষুধ রেমডেসিভির অনুমোদন দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ওই সময় ওষুধটি পর্যালোচনার জন্য গতানুগতিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়নি। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্য দিয়ে রেমডেসিভিরের পর্যালোচনা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top