বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


দ্য ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদন

বাংলাদেশে অস্থিরতার সুযোগে লাভবান হবে ভারতের পোশাক শিল্প?


প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৫২

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪৫

ফাইল ছবি

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা। এরপর এই পোশাক শিল্পই দেশের অর্থনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দেশের মোট জিডিপির ১০ শতাংশ আসে পোশাক খাত থেকে। এরমধ্যে কেবল গত বছরই ৫৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ঢাকা। বিশ্বে পোশাক রপ্তানির দিক দিয়ে বাংলাদেশের ওপরে আছে চীন।

তবে গত জুলাই ও আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চাকা থমকে যায়। শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে আন্দোলন শেষ হলেও এখনও এই খাতে অস্থিরতা রয়ে গেছে। পোশাক শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কারণে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া গ্যাস সংকটের কারণেও কমেছে উৎপাদন।

বাংলাদেশে এই অস্থিরতার সুযোগে ভারতের পোশাক শিল্প লাভবান হতে পারবে? এমন প্রশ্ন অনেকের। এ বিষয়টি এক প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করেছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনোমিস্ট।

সাময়িকীটি বলেছে, ভারত হলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তুলা উৎপাদানকারী দেশ। এসব তুলা বাংলাদেশে রপ্তানি করে তারা। তবে ভারতে অনেক তুলা উৎপাদন হলেও তৈরি পোশাক খাতের দিক দিয়ে দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে।

তবে ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে তারা নতুন করে ৫৪ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার পেয়েছে। নয়াদিল্লির বাইরের আরেকটি গ্রুপ জানিয়েছে, গত আগস্টে তারা স্প্যানিশ ফ্যাশন ফার্ম জারার কাছ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি অর্ডার পেয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে এখনই টেক্কা দেওয়ার সক্ষমতা ভারতের নেই বলে জানিয়েছেন শিল্প বিশ্লেষক মেহেদি মাহবুব। তিনি বলেছেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে সেটি চলে যাবে। ইতোমধ্যে শ্রমিকরা কারখানায় ফিরেছেন এবং উৎপাদন বাড়ছে। এছাড়া পোশাক খাতে যেসব প্রতিযোগী আছে তাদের চেয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন দিকে এগিয়ে আছে। যারমধ্যে অন্যতম হলো কম মজুরিসম্পন্ন শ্রমিক। এমনকি বাংলাদেশের পোশাককেই ইউরোপের বাজারগুলো প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সতর্ক থাকলেও আশাবাদী অবস্থানে আছে। আরেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সঙ্গে পোশাক শিল্পে পাল্লা দেওয়ার সক্ষমতা ভারতের নেই।

তিনি বলেন, ভারতে ইলেকট্রনিকের মতো মূলধন নির্ভর খাতের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পোশাক শিল্পের মতো শ্রমিক নির্ভর খাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতের পোশাক রপ্তানি থেকে আয় কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। সেখানে বাংলাদেশের বেড়েছে ৬৩ শতাংশ।

সূত্র: দ্য ইকোনোমিস্ট।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top