বৃহঃস্পতিবার, ১৩ই মার্চ ২০২৫, ২৯শে ফাল্গুন ১৪৩১


বাংলাদেশিদের নিয়ে তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদি


প্রকাশিত:
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২৭

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১১:৪৬

ফাইল ছবি

বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে ঝাড়খণ্ড প্রদেশের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রোববার ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের গোপাল ময়দানে বিজেপির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেএমএম মোর্চার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। এ সময় দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ওই রাজ্যের জনসংখ্যা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা বাড়িয়ে তুলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সমর্থন দিয়ে আসছে জেএমএম জোট।

অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগণা ও কোলহান অঞ্চলের জন্য উল্লেখযোগ্য হুমকি বলে দাবি করেছেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, রাজ্যের জনসংখ্যায় পরিবর্তন ও উপজাতীয় জনগোষ্ঠী হ্রাস ঘটাচ্ছে এই অনুপ্রবেশকারীরা।

জামশেদপুরের গোপাল ময়দানে বিজেপির ‘পরিবর্তন মহার‌্যালিতে’ ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি বলেন, ‘‘বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা সাঁওতাল পরগণা এবং কোলহান অঞ্চলের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এই অঞ্চলের জনসংখ্যায় দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। উপজাতীয় জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।’’

তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা পঞ্চায়েতগুলোতে অবস্থান নিচ্ছে, জমি দখল করছে এবং নৃশংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের প্রত্যেক বাসিন্দাই অনিরাপদ বোধ করছেন। তবে এসব দাবির বিষয়ে কোনও ধরনের প্রমাণ দেননি ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী।

নরেন্দ্র মোদি আরও অভিযোগ করে বলেন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করছে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীরা রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের ওপর প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।

ভারতীয় এই প্রধানমন্ত্রী জেএমএম, আরজেডি এবং কংগ্রেসকে ঝাড়খণ্ডের ‘‘সবচেয়ে বড় শত্রু’’ বলে দাবি করেন। এসব দল ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত এবং ভোট ব্যাংকের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেন নরেন্দ্র মোদি।

জেএমএম-নেতৃত্বাধীন সরকার কংগ্রেসের ‘‘দুর্নীতির স্কুলে’’ প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেও দাবি করেন নরেন্দ্র মোদি। ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন জেএমএম নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা আহ্বান জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, রাজ্য বর্তমান সরকার খনি, খনিজ সম্পদ এবং সেনাবাহিনীর জমি লুট করেছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top