রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ই আশ্বিন ১৪৩১


হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, তবুও ফাঁসিতে ঝোলানো হল নিথর দেহ!


প্রকাশিত:
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৪৪

আপডেট:
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

প্রতীকী ছবি

ফাঁসির আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক নারীর। কিন্তু এরপরও সেই নিথর দেহকেই ফাঁসিতে ঝোলানো হল। এমন ঘটনা ঘটেছে ইরানের রাজাই শাহর জেলে। মৃত ওই নারীর নাম জাহরা ইসমাইলি। তার বিরুদ্ধে নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগেই জাহরার ফাঁসির শাস্তি হয়। যদিও ওই নারীর স্বামীর বিরুদ্ধে আলিরেজা জামানি জাহরা এবং তার মেয়ের উপরে অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ ছিল।

যে জেলে জাহরাকে ফাঁসি দেওয়ার কথা ছিল, সেই রাজাই শাহর জেল বন্দিদের উপরে অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত। জাহরার আইনজীবী ওমিদ মোরাদির অভিযোগ, ফাঁসির আগে আরও ১৬ জন সাজাপ্রাপ্তের পিছনে লাইনে দাঁড় করানো হয়েছিল দুই সন্তানের মা জাহরাকে। চোখের সামনে একের পর একজনকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে সেই মানসিক ধাক্কা সামলাতে পারেননি জাহরা। লাইনে দাঁড়িয়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। কিন্তু এরপরেও তাকে ছাড় দেওয়া হয়নি।

জাহরার আইনজীবীর অভিযোগ, মৃত্যুর পরেও জাহরার দেহটি ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে গিয়ে দড়িতে বেঁধে ঝোলানো হয়। যাতে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর তার শাশুড়ি লাথি মেরে জাহরার পায়ের নিচ থেকে চেয়ারটি সরিয়ে দিতে পারেন। মোরাদির দাবি, ডেথ সার্টিফিকেটে জাহরার মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। তার আরও দাবি, অত্যাচারী স্বামীর হাত থেকে দুই মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়েই স্বামীকে হত্যা করতে বাধ্য হন জাহরা।

ইরানে শরিয়ত আইনেই নিহত হওয়া ব্যক্তির পরিবার সদস্যদের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। যাতে অভিযুক্তকে সরাসরি শাস্তি দেওয়ার সুযোগ পান তারা। আর ইরানে একই দিনে ১৭ জনের ফাঁসির ঘটনাও খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ চীনের পর ইরানেই সবচেয়ে বেশি প্রাণদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়। মাদক পাচার, মদ্যপান, সমকামিতা, বিয়ের আগেই যৌন সম্পর্কের মতো অভিযোগেও সেদেশে প্রাণদণ্ডের শাস্তি দেওয়ার নজির রয়েছে।


সম্পর্কিত বিষয়:

ফাঁসি

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top