শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


অতিবৃষ্টিতে সবুজ হচ্ছে সৌদির মরুভূমি, যা কেয়ামতের আলামত


প্রকাশিত:
১৩ জানুয়ারী ২০২৫ ১২:২৬

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৯

ছবি সংগৃহিত

কেয়ামতের উল্লেখযোগ্য ছোট আলামত হলো, একদিকে বিশ্বজুড়ে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র ঠাণ্ডা ও দাবদাহসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। এতে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অপরদিকে মরু অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির কারণে ঘটবে এর উল্টোটা। বন্যার কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হবে আরব অঞ্চল। পানির ছোঁয়ায় শুষ্ক মরুভূমি পরিণত হবে সবুজ অরণ্যে।

ইতোমধ্যে এরকম ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সৌদি আরব। সম্প্রতি আরবে আকস্মিক বন্যায় আল উতাইবির অধিকাংশ রাস্তা পানির নিচে ডুবে গেছে, পানি দেখা গেছে মদিনার দক্ষিণ অঞ্চলগুলোতেও, রাজধানী রিয়াদের বিভিন্ন রাস্তাও বন্যায় কবলিত হয়েছে। একইভাবে আরবের বুকে দেখা যাচ্ছে সবুজ তৃণলতার দৃশ্য। সাম্প্রতিক সময়ে আরবের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা করে অনেক ভূতাত্ত্বিকই এটি নিশ্চিত হয়েছেন। যাকে নবীজির ভবিষ্যদ্বাণীরই প্রতিফলন বলছেন অনেকে।

গত মঙ্গলবার সৌদি আরবের আবহাওয়া অধিদপ্তর, ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটেরোলজি, মক্কা ও মদিনাসহ পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। একই সঙ্গে রিয়াদসহ মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশ, আসির ও জাজানে অরেঞ্জ অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের বন্যার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে সরকারের নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মক্কা ও মদিনার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে, গাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং ভবনগুলো ডুবে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন নিচু এলাকা ও উপত্যকায় পানি জমে রয়েছে।

সৌদি আরবের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর এবং রেড ক্রিসেন্ট জানায়, বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জনগণকে নিচু এলাকা ও বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরবে জলবায়ু পরিবর্তন গত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মরুর দেশটি এখন নিয়মিত তুষারপাত, বন্যা ও শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ছে, যা আগের কোনো সময়ের নজির নয়। গত বছর শীতকালীন মৌসুমে দেশটিতে তাপমাত্রা মাইনাস ৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমেও আকস্মিক বন্যার ঘটনা কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, কেয়ামতের ছোট আলামত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কেয়ামতের ছোট আলামত হিসেবে পৃথিবীজুড়ে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র ঠান্ডা এবং দাবদাহের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ বাড়বে। এতে বিশ্বজুড়ে ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অন্যদিকে মরু অঞ্চলে অতিরিক্ত ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে, আরব অঞ্চল বন্যার কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হবে। পানি দ্বারা শুষ্ক মরুভূমি সবুজ অরণ্যে পরিণত হবে, যা একটি আশ্চর্যজনক পরিবর্তন।

মির্জ সাইমা


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top