গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করছে কাতার-মিসর
প্রকাশিত:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০০
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ১০:২৫

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি নিয়ে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।. চুক্তি অনুযায়ী, পর্যাপ্ত ত্রাণ ও ভারী সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে না দেওয়ায় গত সোমবার হামাস ঘোষণা দেয়, তারা আগামী শনিবার তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে না। এরপর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দেন, যদি শনিবার তাদের জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হয় তাহলে ওইদিন থেকে গাজায় আবারও তীব্র হামলা শুরু হবে।
তবে হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলা এ দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসর। ফিলিস্তিনি একটি সূত্র বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বার্তাসংস্থা এএফপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা কথা বলছেন। তারা এই দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করছেন এবং চুক্তি অনুযায়ী যেসব ত্রাণ ও সরঞ্জাম পাঠানোর কথা রয়েছে সেটি মানতে ইসরায়েলকে বাধ্য করানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়া যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয়ধাপের আলোচনা শুরুর ওপরও গুরুত্বারোপ করছেন তারা।”
গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই চুক্তিটি করা হয়েছে তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপের মেয়াদ হলো ৪২ দিন। এই সময়ের মধ্যে হামাস ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অপরদিকে দখলদার ইসরায়েল কথা দিয়েছে, তারা গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ ও ভারী সরঞ্জাম প্রবেশ করতে দেবে এবং কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। তবে চুক্তি ভঙ্গ করে দখলদাররা এখন পর্যন্ত গাজায় কোনো ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশ করতে দেয়নি। যেগুলো দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মরদেহ উদ্ধার করার কথা রয়েছে হামাসের। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী, পর্যাপ্ত ত্রাণও ঢুকতে দেয়নি তারা।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: