১৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হলো হিথ্রো বিমানবন্দর
প্রকাশিত:
২২ মার্চ ২০২৫ ১৩:৫৭
আপডেট:
২৩ মার্চ ২০২৫ ০০:৪৭

শুধু ব্রিটেন নয়, সমগ্র ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিথ্রো। বিমানবন্দরের পাশের বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকায় বহু যাত্রী সমস্যায় পড়েন।
টানা ১৮ ঘণ্টা এখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল। অবশেষে শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতের দিকে কয়েকটি বিমান উড়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে শুক্রবার রাতেই জানান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২২ মার্চ) ভোর থেকে পুরোদমে বিমানের ওঠানামা শুরু হয়। লন্ডনের দমকলবাহিনী জানিয়েছে, নিকটবর্তী একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র (ইলেকট্রিক্যাল সাবস্টেশন) থেকে হিথ্রোয় আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই কেন্দ্রে মজুত ছিল ২৫ হাজার লিটার তেল, যা দাউ দাউ করে জ্বলেছে।
শুধু ব্রিটেন নয়, সমগ্র ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিথ্রো। আগুন বিপর্যয়ে সেখানে ১৮ ঘণ্টা বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকায় বহু যাত্রী সমস্যায় পড়েছেন। লন্ডনে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অনেক বিমান বাতিল হয়েছে। অনেক বিমানের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।
যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন হিথ্রো কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার লন্ডনের দমকল বিভাগ জানায়, যে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আগুন লেগেছে, সেখানে প্রচুর পরিমাণে তেল (কুলিং অয়েল) মজুত করা ছিল। বিমানের ইঞ্জিন বা অন্য যে কোনও যন্ত্র অত্যধিক গরম হয়ে পড়লে তা ঠান্ডা করতে এই ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হিথ্রো থেকে যখন একটি-দু’টি বিমান ছাড়তে শুরু করেছে, তখনও পাঁচ শতাংশ আগুন জ্বলছিল বলে জানায় দমকল বাহিনী। তবে আপাতত পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
হিথ্রো বিমানবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত থমাস ওল্ডবাই বলেন, শনিবার সকাল থেকে পুরোদমে আমরা পরিষেবা চালু করতে পেরেছি। আর পাঁচটা দিনের মতোই বিমান ওঠানামা ১০০ শতাংশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বহু মানুষের যাত্রা বিঘ্নিত হয়েছে। আমরা তার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৩ মিনিট নাগাদ হিথ্রো বিমানবন্দরে আগুন লাগে। রাত ২টা থেকে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগুনের ফলে বিমানবন্দর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, পরিষেবা স্বাভাবিক হতে অন্তত ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। তবে কর্মচারীরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। অবশেষে ১৮ ঘণ্টা পরে হিথ্রো স্বাভাবিক হল।
কী ভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। লন্ডনের পুলিশ অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: