ইউরোপেই মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়াল
করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত ২৩ লাখ ছাড়াল, মৃত ১ লাখ ৬০ হাজার
প্রকাশিত:
১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৭:১০
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৫:০৮

বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ লাখ।
করোনা সবচেয়ে মারাত্বকভাবে আঘাত হেনেছে ইউরোপে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। এদিকে লকডাউনের বিরোধীতা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। এ নিয়ে দেশজুড়ে চলছ বিক্ষোভ। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন দেশের অর্থনীতির স্বার্থে লকডাউন খুলে দেওয়া উচিত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে সবার উপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় ৩৮ হাজার ৯২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এতে আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯০ জন। শুধু নিউইয়র্কে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা এখন ২ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ হাজার ৬৭১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তবে শনিবার (১৮ এপ্রিল) করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হিসাব দিতে এসে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে ৫৪০ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন, যা গত দিনগুলোর তুলনায় কিছুটা কম।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে এরপরই রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯১ হাজার ৭২৬ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৬৩৯ জনের। স্পেনে গত সপ্তাহে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমতে শুরু করলেও এই সপ্তাহে তা বাড়তে শুরু করেছে আবার। বলা হচ্ছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মৃতের হারা বেড়েছে প্রায় তিন শতাংশ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, একেক অঞ্চলে একেকভাবে হিসাব রাখার কারণে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যায় গরমিল হচ্ছে।
এদিকে করোনা মহামারির ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে আফ্রিকাসহ বেশ কিছু স্বল্পোন্নত দেশ। বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালের দিকে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। বিশ্ব চাইলে আসন্ন এ সংকট ঠেকাতে পারে, তবে তা করার সময় ফুরিয়ে আসছে। খুব দ্রুতই সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের ওপর পঙ্গপালের আক্রমণের কারণে এমনিতেই তীব্র সমস্যার মধ্যে আছে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ। ৭০ বছরের মধ্যে এতোটা খারাপ পরিস্থিতিতে আর পড়তে হয়নি তাদের। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগেই এসব দেশের অন্তত ২ কোটি মানুষ প্রচণ্ড রকমের খাদ্য অনিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির মধ্যে ছিল। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও) এর জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক পরিচালক ডমিনিক বারজিওন বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তাজনিত দিক থেকে কিছু জায়গা দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অভাবের মাত্রাটা এমনিতেই অনেক বেশি। এ সময়ে আরেকটি আঘাত তারা সহ্য করতে পারবে না। এ নিয়ে আমরা খুব উদ্বেগে আছি।’
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: