করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড
এই প্রথম তেলের দাম ‘শূন্য’ ডলার
প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২০ ১৮:৪০
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ২২:৩৬

বর্তমান পরিস্থিতিতে আগের তুলনায় মানুষ ভ্রমণ সীমিত করায় তেলের চাহিদা কমে গেছে। অন্যদিকে তেলের মজুতকেন্দ্রগুলো পরিপূর্ণ হয়ে আছে। এ দুইয়ের ফলে ইতিহাসের এই প্রথম তেলের দাম শূন্য ডলারে নেমে এসেছে। অর্থাৎ, আপনাকে টাকা দিতে হবে না, বিক্রেতারাই উল্টো আপনাকে টাকা দেবেন, আপনি শুধু তাদের তেলটুকু নিয়ে যান।
যুক্তরাষ্ট্রের তেলের বাজারে বহুদিন ধরেই বেঞ্চমার্ক হয়ে আছে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) মূল্য। অর্থনৈতিক মন্দা, যুদ্ধ যা-ই হোক না কেন এর দাম কখনোই অন্তত তিনশ’ শতাংশ পড়ে যেতে দেখা যায়নি। এদিন মে মাসের চুক্তিতে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১৭ দশমিক ৮৫মার্কিন ডলার থেকে কমতে কমতে দাঁড়িয়েছিল মাইনাস ৩৭ দশমিক ৬৩ ডলারে।
তেলের বেচাকেনা চলে ভবিষ্যত মূল্যের ওপর নির্ভর করে। আগামী মে মাসের ভবিষ্যত চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল)। ফলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের হাতে থাকা তেলের মজুদ ছেড়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দরপতন হয়েছে ৯০ শতাংশ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, ফিউচার মার্কেটে আগামী মে মাসের জন্য করা চুক্তিতে তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ব্যারেল প্রতি ০ ডলারেরও নিচে। এর অর্থ হচ্ছে, উৎপাদকরা এখন হাতে থাকা তেল ছেড়ে দিতে উল্টো ক্রেতাদের দাম পরিশোধ করছে।
উৎপাদকদের আশঙ্কা, আগামী মে মাসের মধ্যেই তাদের মজুদ ক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাবে। তখন অতিরিক্ত সরবরাহ মজুদ করতে তারা ট্যাংকার ভাড়া করতে বাধ্য হবে। অর্থাৎ, উৎপাদকরা তেলের দাম মাত্রাতিরিক্ত কমিয়ে সংরক্ষণাগারের খরচ কমানোর চেষ্টা করেছেন। মূলত এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে দাম ঋণাত্মক পর্যায়ে বা ০ ডলারের নিচে পৌঁছেছে।
মার্চেন্ট কমোডিটি ফান্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডগ কিং বলেন, ‘আজ বিশ্বব্যাপী তেল শিল্পের জন্য এক বিধ্বংসী দিন। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণক্ষমতা পূরণ হয়ে গেছে বা যাচ্ছে এবং বাজারে কিছু দুর্ভাগ্যজনক লেনদেন হয়েছে।’
মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে মে মাসের চুক্তি। ফলে সবার নজর এখন জুনের চুক্তির দিকেই। আর সেখানে কিছুটা সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এতে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১ দশমিক ৭২ ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ১৫ ডলারে। আর জুনের ডেলিভারিতে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ০.১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫ দশমিক ৬১ ডলার।
সম্পর্কিত বিষয়:
তেল
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: